ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

ময়মনসিংহে জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির কদর, রমজানে বিক্রি লক্ষাধিক টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / 88

ছবি সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহ শহরের জিলা স্কুল মোড়ে অবস্থিত হোটেল মেহেরবান-এর মালিক জাকির হোসেন তার বিশেষ ধরনের জিলাপির জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার তৈরি টক-মিষ্টি জিলাপি স্থানীয়দের কাছে এক ভিন্ন স্বাদের খাবার হিসেবে পরিচিত, যা স্বাদে ও গুণে অনন্য। রমজান মাসে এই জিলাপির চাহিদা বহুগুণে বেড়ে যায়, ফলে তার দৈনিক বিক্রির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা ছুঁয়ে ফেলে।

জাকির হোসেনের তৈরি জিলাপি সাধারণ জিলাপির তুলনায় স্বাদে বেশ আলাদা। এটি মিষ্টির পাশাপাশি সামান্য টক স্বাদেরও হয়ে থাকে, যা খেতে একদমই নতুন অভিজ্ঞতা দেয়। বিশেষ মশলার সংমিশ্রণে তৈরি এই জিলাপি ময়মনসিংহের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সারা বছর এই জিলাপির কদর থাকলেও রমজান মাসে চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ইফতারির জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই জিলাপি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। বিকেলের দিকে দোকানের সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়, যেখানে ক্রেতারা অপেক্ষায় থাকেন জিলাপি কেনার জন্য।

জাকির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে খাবার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথমদিকে তার ব্যবসা ছোট আকারের ছিল, তবে এই বিশেষ ধরনের জিলাপির মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। বর্তমানে, তার হোটেল মেহেরবান শুধুমাত্র জিলাপির জন্যই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়দের মতে, এই জিলাপির স্বাদ অসাধারণ এবং অন্য কোথাও এমন জিলাপি পাওয়া যায় না। একজন ক্রেতা বলেন, “রমজানে ইফতারিতে জাকিরের জিলাপি না থাকলে যেন ইফতার সম্পূর্ণ হয় না।” অনেকেই পরিবারের জন্য বড় পরিমাণে কিনে নিয়ে যান, আর অনেকে বন্ধুবান্ধবকে উপহারও দেন এই অনন্য স্বাদের জিলাপি।

জাকির হোসেনের টক-মিষ্টি জিলাপি ময়মনসিংহ শহরে এক নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। স্বাদের বৈচিত্র্য এবং মানসম্পন্ন উপাদানের কারণে এটি রমজান মাসের অন্যতম জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে। তার কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতা তাকে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহে জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির কদর, রমজানে বিক্রি লক্ষাধিক টাকা

আপডেট সময় ০১:২৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

 

ময়মনসিংহ শহরের জিলা স্কুল মোড়ে অবস্থিত হোটেল মেহেরবান-এর মালিক জাকির হোসেন তার বিশেষ ধরনের জিলাপির জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার তৈরি টক-মিষ্টি জিলাপি স্থানীয়দের কাছে এক ভিন্ন স্বাদের খাবার হিসেবে পরিচিত, যা স্বাদে ও গুণে অনন্য। রমজান মাসে এই জিলাপির চাহিদা বহুগুণে বেড়ে যায়, ফলে তার দৈনিক বিক্রির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা ছুঁয়ে ফেলে।

জাকির হোসেনের তৈরি জিলাপি সাধারণ জিলাপির তুলনায় স্বাদে বেশ আলাদা। এটি মিষ্টির পাশাপাশি সামান্য টক স্বাদেরও হয়ে থাকে, যা খেতে একদমই নতুন অভিজ্ঞতা দেয়। বিশেষ মশলার সংমিশ্রণে তৈরি এই জিলাপি ময়মনসিংহের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সারা বছর এই জিলাপির কদর থাকলেও রমজান মাসে চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ইফতারির জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই জিলাপি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। বিকেলের দিকে দোকানের সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়, যেখানে ক্রেতারা অপেক্ষায় থাকেন জিলাপি কেনার জন্য।

জাকির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে খাবার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রথমদিকে তার ব্যবসা ছোট আকারের ছিল, তবে এই বিশেষ ধরনের জিলাপির মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। বর্তমানে, তার হোটেল মেহেরবান শুধুমাত্র জিলাপির জন্যই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়দের মতে, এই জিলাপির স্বাদ অসাধারণ এবং অন্য কোথাও এমন জিলাপি পাওয়া যায় না। একজন ক্রেতা বলেন, “রমজানে ইফতারিতে জাকিরের জিলাপি না থাকলে যেন ইফতার সম্পূর্ণ হয় না।” অনেকেই পরিবারের জন্য বড় পরিমাণে কিনে নিয়ে যান, আর অনেকে বন্ধুবান্ধবকে উপহারও দেন এই অনন্য স্বাদের জিলাপি।

জাকির হোসেনের টক-মিষ্টি জিলাপি ময়মনসিংহ শহরে এক নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। স্বাদের বৈচিত্র্য এবং মানসম্পন্ন উপাদানের কারণে এটি রমজান মাসের অন্যতম জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে। তার কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতা তাকে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রাখে।