ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার শুরু, রোববার পরবর্তী শুনানি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বহুল আলোচিত এই ঘটনার বিচারিক কার্যক্রম।

আদালতে অভিযুক্ত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী এবং ভাশুর। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ এপ্রিল।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পান অ্যাটর্নি জেনারেলের মর্যাদাসম্পন্ন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি শুনানিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি ও অন্যান্য নথির ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠিত হয়েছে। বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

শুনানিতে বিচারক আসামিদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেন এবং কারাবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আবেদন করার নির্দেশ দেন। অভিযুক্তরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ৬ মার্চ শিশুটি তার বোনের স্বামীর কক্ষে একা থাকাকালে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় বলে শ্বশুর আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং ১৩ মার্চ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এরপর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। ৮ মার্চ শিশুটির মা চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা বর্তমানে কারাগারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার শুরু, রোববার পরবর্তী শুনানি

আপডেট সময় ০১:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

 

মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বহুল আলোচিত এই ঘটনার বিচারিক কার্যক্রম।

আদালতে অভিযুক্ত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী এবং ভাশুর। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ এপ্রিল।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পান অ্যাটর্নি জেনারেলের মর্যাদাসম্পন্ন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি শুনানিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি ও অন্যান্য নথির ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠিত হয়েছে। বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

শুনানিতে বিচারক আসামিদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেন এবং কারাবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আবেদন করার নির্দেশ দেন। অভিযুক্তরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ৬ মার্চ শিশুটি তার বোনের স্বামীর কক্ষে একা থাকাকালে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় বলে শ্বশুর আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং ১৩ মার্চ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এরপর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। ৮ মার্চ শিশুটির মা চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা বর্তমানে কারাগারে।