০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রামে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 98

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন এক গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট-অক্সিজেন সড়কের উড়ালসড়কের মুখে অবস্থান নেন তারা। ফলে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এতে বিপাকে পড়েন অফিসগামী লোকজন ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

দুই নম্বর গেট থেকে বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন। অনেকেই হাঁটতে বাধ্য হন। শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যা নগরবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তোলে।

বিজ্ঞাপন

অবরোধে অংশ নেওয়া রহিমা গার্মেন্টসের শ্রমিক রবিউল হোসেন জানান, টানা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তারা। কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত আশ্বাস দিলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “গতকাল রাতেই শুনি, কর্তৃপক্ষ কারখানা থেকে মালামাল সরিয়ে ফেলেছে। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি।”

এ প্রসঙ্গে খুলশী থানার ডিউটি অফিসার নাইমুর রহমান বলেন, “শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, কিন্তু শ্রমিকদের সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। তারা বলেন, মালিক পক্ষ শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য দিতে গড়িমসি করলে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবেই।

শ্রমিকদের এই বকেয়া বেতনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কর্মজীবী মানুষের আন্দোলন যেন জনদুর্ভোগে পরিণত না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চলছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রামে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় ০১:১৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

চট্টগ্রামে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন এক গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট-অক্সিজেন সড়কের উড়ালসড়কের মুখে অবস্থান নেন তারা। ফলে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এতে বিপাকে পড়েন অফিসগামী লোকজন ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

দুই নম্বর গেট থেকে বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন। অনেকেই হাঁটতে বাধ্য হন। শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যা নগরবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তোলে।

বিজ্ঞাপন

অবরোধে অংশ নেওয়া রহিমা গার্মেন্টসের শ্রমিক রবিউল হোসেন জানান, টানা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তারা। কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত আশ্বাস দিলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “গতকাল রাতেই শুনি, কর্তৃপক্ষ কারখানা থেকে মালামাল সরিয়ে ফেলেছে। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি।”

এ প্রসঙ্গে খুলশী থানার ডিউটি অফিসার নাইমুর রহমান বলেন, “শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, কিন্তু শ্রমিকদের সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। তারা বলেন, মালিক পক্ষ শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য দিতে গড়িমসি করলে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবেই।

শ্রমিকদের এই বকেয়া বেতনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কর্মজীবী মানুষের আন্দোলন যেন জনদুর্ভোগে পরিণত না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চলছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।