ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ফজর আলী এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে সম্পৃক্ত অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ফজর আলী ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়দের কাছে গণপিটুনির শিকার হয়ে পালিয়ে যায় ফজর আলী। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলা ছাড়াও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত বাকি চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের এ অভিযান দ্রুত সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ফজর আলী এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে সম্পৃক্ত অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ফজর আলী ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়দের কাছে গণপিটুনির শিকার হয়ে পালিয়ে যায় ফজর আলী। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলা ছাড়াও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত বাকি চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের এ অভিযান দ্রুত সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।