ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

জুলাই গণহত্যা: আ.লীগের দৃশ্যমান বিচার দাবি জোনায়েদ সাকির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 23

ছবি: সংগৃহীত

 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের দলগতভাবে দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায় তার দল। একইসঙ্গে তিনি জনগণের কাছে প্রকৃত অর্থে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, “আমরা সংস্কারের প্রশ্নে সর্বোচ্চ অর্জন করতে চাই, যেন জনগণের হাতে আবারো ক্ষমতা ফিরে যায়। একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলতে হলে বিচার বিভাগ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংরক্ষিত নারী আসন, সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পদ্ধতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মৌলিক সংস্কার আনতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু ন্যায়বিচারের দাবি নয়, বরং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও জরুরি।”

বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বলে জানান সাকি। তিনি বলেন, “দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই কাঠামো গড়ে তুলতে চাই, যেখানে জনগণের মতামতই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”

এনসিপির বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেন। সভার সমাপ্তিতে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও এই ধরনের বৈঠক চলমান থাকবে এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এই বৈঠককে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন, যা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই গণহত্যা: আ.লীগের দৃশ্যমান বিচার দাবি জোনায়েদ সাকির

আপডেট সময় ০৫:৫০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের দলগতভাবে দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায় তার দল। একইসঙ্গে তিনি জনগণের কাছে প্রকৃত অর্থে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, “আমরা সংস্কারের প্রশ্নে সর্বোচ্চ অর্জন করতে চাই, যেন জনগণের হাতে আবারো ক্ষমতা ফিরে যায়। একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলতে হলে বিচার বিভাগ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংরক্ষিত নারী আসন, সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পদ্ধতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মৌলিক সংস্কার আনতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু ন্যায়বিচারের দাবি নয়, বরং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও জরুরি।”

বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বলে জানান সাকি। তিনি বলেন, “দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই কাঠামো গড়ে তুলতে চাই, যেখানে জনগণের মতামতই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”

এনসিপির বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেন। সভার সমাপ্তিতে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও এই ধরনের বৈঠক চলমান থাকবে এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এই বৈঠককে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন, যা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।