ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মার্কিন সহায়তা ছাড়া ছয় মাসের বেশি টিকতে পারবে না ইউক্রেন আইভরি কোস্ট থেকে ফরাসি সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার: নতুন যুগের সূচনা ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন গাজায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে চলেছে: ধ্বংসস্তূপে আরও ২২ লাশ উদ্ধার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: ১৫০ মিটার উচ্চতা হারাল এভারেস্ট! চরমোনাই মাহফিলে ইসলামী ঐক্যের আহ্বান, আগামী নির্বাচন নিয়ে কৌশল নির্ধারণ শের-ই-বাংলা মেডিকেল শাটডাউনের চতুর্থ দিন: সড়ক অবরোধে শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান আমরা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও শক্তিশালী: ড. ইউনূস একুশে পদক ২০২৫: ১৮ গুণীজন ও এক দলকে সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা রমজানে পণ্যের সংকট নেই, মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: অর্থ উপদেষ্টা

ব্রিটিশ সরকারের কঠোর পদক্ষেপ: অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার, আতঙ্কে বাংলাদেশিরাও

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ব্রিটিশ সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যার ফলে এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এর প্রভাবে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে গ্রেফতার আতঙ্ক বেড়েছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে লন্ডনের ২০৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম ১৪২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে, যা গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ২০২৪ সালে ওই মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৮৩ জনকে।

ব্রিটিশ হোম অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৬০৯ জন অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসী ধরতে ব্রিটিশ সরকার এখন রেস্তোরাঁ ছাড়াও সেলুন, সুপারমার্কেট, এবং কার ওয়াশের মতো স্থানগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছে, যা আগে কখনো ছিল না।

এভাবে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের কঠোর অবস্থান স্থানীয় কমিউনিটিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিবাসীরা এখন বেশ আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া এবং বৈধতার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রিটিশ পুলিশ ৫ হাজার ৪২৫টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৯৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। বিশেষ করে অবৈধ কর্মসংস্থানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে আগের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি গ্রেফতার হয়েছে।

এছাড়া, ব্রিটিশ সরকার ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পরিমাণ অবৈধ অভিবাসীকে চার্টার ফ্লাইটে তাদের নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে ৮৫০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার অভিবাসন নিয়ে জনগণের সমর্থন লাভ করতে চাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

ব্রিটিশ সরকারের কঠোর পদক্ষেপ: অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার, আতঙ্কে বাংলাদেশিরাও

আপডেট সময় ০৫:০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ব্রিটিশ সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যার ফলে এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এর প্রভাবে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে গ্রেফতার আতঙ্ক বেড়েছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে লন্ডনের ২০৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম ১৪২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে, যা গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ২০২৪ সালে ওই মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৮৩ জনকে।

ব্রিটিশ হোম অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৬০৯ জন অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসী ধরতে ব্রিটিশ সরকার এখন রেস্তোরাঁ ছাড়াও সেলুন, সুপারমার্কেট, এবং কার ওয়াশের মতো স্থানগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছে, যা আগে কখনো ছিল না।

এভাবে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের কঠোর অবস্থান স্থানীয় কমিউনিটিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিবাসীরা এখন বেশ আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া এবং বৈধতার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রিটিশ পুলিশ ৫ হাজার ৪২৫টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৯৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। বিশেষ করে অবৈধ কর্মসংস্থানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে আগের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি গ্রেফতার হয়েছে।

এছাড়া, ব্রিটিশ সরকার ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পরিমাণ অবৈধ অভিবাসীকে চার্টার ফ্লাইটে তাদের নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে ৮৫০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার অভিবাসন নিয়ে জনগণের সমর্থন লাভ করতে চাচ্ছে।