বেনাপোলে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে গোপালগঞ্জ আ.লীগের নেতা গ্রেফতার

- আপডেট সময় ০১:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
- / 9
ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সন্দেহজনকভাবে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে চিহ্নিত করেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী, তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ভারতে প্রবেশের জন্য শাহাবুদ্দিন ‘মেডিকেল ভিসা’ গ্রহণ করেন। যদিও বর্তমানে ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান প্রায় বন্ধ রেখেছে, তবুও বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন চৌধুরী বলেন, “পাসপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্টের পর একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।”
বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র বিশ্বাস জানান, শাহাবুদ্দিন আহম্মেদকে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হবে। তদন্তে দেখা হচ্ছে তার ভারতে পারাপারের পেছনে কোনো দালাল বা সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত ছিল কি না।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসেই এ পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ১৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের সবার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর দায়ের হওয়া হত্যা ও অন্যান্য মামলার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে, ৫ জুন একইভাবে ভারতে পালানোর সময় বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রেজাউল কবিরকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, শাহাবুদ্দিনকে ভারতে পার করে দিতে একটি চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চেষ্টা চালাচ্ছিল। তবে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সতর্কতায় তিনি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টেই ধরা পড়েন। বন্দরের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে ওই দালাল চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।