ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

তুরস্ককে ৪০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিল যুক্তরাজ্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ককে ৪০টি অত্যাধুনিক ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তুরস্কের সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে তুর্কি কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে এবং বিভিন্ন কূটনৈতিক আলোচনা চলছে।

ইউরোফাইটার টাইফুন একটি যৌথ ইউরোপীয় প্রকল্প, যা যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন ও ইতালির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মিত। ফলে এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সম্মতি প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানি তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করায় আলোচনার পথ আরও মসৃণ হয়েছে এবং চুক্তির সম্ভাবনা বেড়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক তার সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী। যুক্তরাজ্যের এই প্রস্তাব তুরস্কের বিমানবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায়।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এই চুক্তি। ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত যুদ্ধবিমান কেনার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ কেনার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ায় তুরস্ক এখন বিকল্প উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে।

তবে এই চুক্তি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং সব পক্ষের সম্মতি পাওয়া না পর্যন্ত এটি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা সব দিক পর্যালোচনা করে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশ্ব রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা চুক্তি ও সামরিক প্রযুক্তি কেনাবেচা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এই চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয় এবং তুরস্ক এই চুক্তির মাধ্যমে কতটা লাভবান হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

তুরস্ককে ৪০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিল যুক্তরাজ্য

আপডেট সময় ১২:২১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ককে ৪০টি অত্যাধুনিক ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তুরস্কের সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে তুর্কি কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে এবং বিভিন্ন কূটনৈতিক আলোচনা চলছে।

ইউরোফাইটার টাইফুন একটি যৌথ ইউরোপীয় প্রকল্প, যা যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন ও ইতালির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মিত। ফলে এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সম্মতি প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানি তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করায় আলোচনার পথ আরও মসৃণ হয়েছে এবং চুক্তির সম্ভাবনা বেড়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক তার সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী। যুক্তরাজ্যের এই প্রস্তাব তুরস্কের বিমানবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায়।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এই চুক্তি। ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত যুদ্ধবিমান কেনার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ কেনার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ায় তুরস্ক এখন বিকল্প উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে।

তবে এই চুক্তি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং সব পক্ষের সম্মতি পাওয়া না পর্যন্ত এটি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা সব দিক পর্যালোচনা করে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিশ্ব রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা চুক্তি ও সামরিক প্রযুক্তি কেনাবেচা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এই চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয় এবং তুরস্ক এই চুক্তির মাধ্যমে কতটা লাভবান হয়।