ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রোহিতের ভুল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিণতি এখনো বাকি নতুন সংগঠন থেকে পদত্যাগ: গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের দুই সমন্বয়ক বিদায় ৩৬ জুলাই: যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিপ্লবীদের এক বিশেষ সম্মাননা চীনের আগ্রহ: বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির পরিকল্পনা টেকনাফে ৬০ কেজি গাঁজাসহ ৪ পাচারকারী গ্রেফতার ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’ ঘোষণা: নতুন রাজনৈতিক শক্তির আত্মপ্রকাশ মিরসরাইয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: চার যানবাহনের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২০ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য ভাতা চালু মার্চ থেকেই: প্রেস সচিব প্রতিদিন হাঁটার আশ্চর্যজনক উপকারিতা ইইউ-এর পণ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক হুমকি: ইউরোপীয় প্রতিবাদ

ব্যাংক খাত সংকট ও অর্থনৈতিক চাপে কিছু ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম: গভর্নর

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

দেশের ব্যাংক খাতের সংকট নিয়ে আবারও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছু ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিয়ে আলোচনা চলছে। আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বিষয়টি আরও প্রকট হয়। আস্থা সংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনো চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ব্যাংক খাতের এই টালমাটাল অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল ও সবল এভাবে শ্রেণিবদ্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার মতে, এমন বিভাজন পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

এদিকে, সংকটগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ‘লাইফ সাপোর্ট’ ব্যবস্থার পরিবর্তে কার্যকর সংস্কার নীতির পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এক সেমিনারে তিনি বলেন, সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই এমন ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দেওয়াই হবে সর্বোত্তম সমাধান।

তবে ব্যাংক বন্ধের বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার মতে, ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরাতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ, একতরফা সিদ্ধান্ত নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবিএল তাদের সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। তবে কিছু ব্যাংকের অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে, সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার পরও সেগুলোর টিকে থাকার সম্ভাবনা কম।

এছাড়া নতুন ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আপাতত কোনো পরিকল্পনা করছে না। বরং মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে আন্তঃলেনদেন সুবিধা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক খাতের সংকট কাটিয়ে তুলতে শক্তিশালী নীতি প্রয়োগের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

ব্যাংক খাত সংকট ও অর্থনৈতিক চাপে কিছু ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম: গভর্নর

আপডেট সময় ১২:০১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

দেশের ব্যাংক খাতের সংকট নিয়ে আবারও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছু ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিয়ে আলোচনা চলছে। আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বিষয়টি আরও প্রকট হয়। আস্থা সংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনো চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ব্যাংক খাতের এই টালমাটাল অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল ও সবল এভাবে শ্রেণিবদ্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার মতে, এমন বিভাজন পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

এদিকে, সংকটগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ‘লাইফ সাপোর্ট’ ব্যবস্থার পরিবর্তে কার্যকর সংস্কার নীতির পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এক সেমিনারে তিনি বলেন, সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই এমন ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দেওয়াই হবে সর্বোত্তম সমাধান।

তবে ব্যাংক বন্ধের বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার মতে, ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরাতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ, একতরফা সিদ্ধান্ত নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবিএল তাদের সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। তবে কিছু ব্যাংকের অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে, সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার পরও সেগুলোর টিকে থাকার সম্ভাবনা কম।

এছাড়া নতুন ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আপাতত কোনো পরিকল্পনা করছে না। বরং মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে আন্তঃলেনদেন সুবিধা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক খাতের সংকট কাটিয়ে তুলতে শক্তিশালী নীতি প্রয়োগের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।