০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

সুন্দরবনে অপহৃত ৩৩ জেলে ও ৬ নারীকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

সুন্দরবনের করকরি নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ করিম শরীফ ডাকাত দলের হাতে অপহৃত ৩৩ জন জেলে ও ৬ জন নারীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোররাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন মোংলা স্টেশনের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মাহবুব হোসেন।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি সুন্দরবনের ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা করিম শরীফ বাহিনীর হাতে পড়েন। অস্ত্রের মুখে জেলেসহ নারীদের জিম্মি করে গভীর বনে আটকে রাখা হয়। অপহরণের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল ডাকাত দল।

কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ছিলেন যারা তাদের স্বামী বা আত্মীয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। জিম্মিদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

লেফটেন্যান্ট মাহবুব হোসেন বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের দল দ্রুত অভিযান চালায় এবং কোন ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনার আগেই এলাকা ত্যাগ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, সুন্দরবনে জলদস্যু নির্মূল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, করিম শরীফ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে দস্যুতা চালিয়ে আসছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক অভিযানে তাদের কার্যক্রম অনেকটা সীমিত হয়ে এলেও, সম্প্রতি আবারও তারা সক্রিয় হয়ে ওঠার আভাস মিলছে।

সুন্দরবনের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

সুন্দরবনে অপহৃত ৩৩ জেলে ও ৬ নারীকে উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড

আপডেট সময় ০১:২১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

সুন্দরবনের করকরি নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ করিম শরীফ ডাকাত দলের হাতে অপহৃত ৩৩ জন জেলে ও ৬ জন নারীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোররাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন মোংলা স্টেশনের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মাহবুব হোসেন।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি সুন্দরবনের ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা করিম শরীফ বাহিনীর হাতে পড়েন। অস্ত্রের মুখে জেলেসহ নারীদের জিম্মি করে গভীর বনে আটকে রাখা হয়। অপহরণের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল ডাকাত দল।

কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ছিলেন যারা তাদের স্বামী বা আত্মীয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। জিম্মিদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

লেফটেন্যান্ট মাহবুব হোসেন বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের দল দ্রুত অভিযান চালায় এবং কোন ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনার আগেই এলাকা ত্যাগ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, সুন্দরবনে জলদস্যু নির্মূল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, করিম শরীফ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে দস্যুতা চালিয়ে আসছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক অভিযানে তাদের কার্যক্রম অনেকটা সীমিত হয়ে এলেও, সম্প্রতি আবারও তারা সক্রিয় হয়ে ওঠার আভাস মিলছে।

সুন্দরবনের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।