ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উন্নয়ন: সাফল্যের নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজশাহী বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে এক নতুন সাফল্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আট জেলার কৃষকেরা এখন সারা বছরই প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন, যা তাদের কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

পৌনে দুই দশক আগে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। জমির ফসল নষ্ট হতো, আর কৃষকরা শুধু বর্ষাকালেই এক মৌসুম চাষ করতে পারতেন। কিন্তু বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সেচের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এতে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যায়।

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ কৃষক ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু নলকূপের পানির স্তরও হ্রাস পেয়েছে, তবে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেচ প্রকল্প কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এবং কৃষি উৎপাদনে তারা এক নতুন দিগন্তের সূচনা দেখছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
৫৪৭ বার পড়া হয়েছে

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উন্নয়ন: সাফল্যের নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাজশাহী বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে এক নতুন সাফল্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আট জেলার কৃষকেরা এখন সারা বছরই প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন, যা তাদের কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

পৌনে দুই দশক আগে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। জমির ফসল নষ্ট হতো, আর কৃষকরা শুধু বর্ষাকালেই এক মৌসুম চাষ করতে পারতেন। কিন্তু বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সেচের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এতে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যায়।

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ কৃষক ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু নলকূপের পানির স্তরও হ্রাস পেয়েছে, তবে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেচ প্রকল্প কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এবং কৃষি উৎপাদনে তারা এক নতুন দিগন্তের সূচনা দেখছেন।