ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দিনাজপুরে লিচুর ফুলে মধু উৎপাদনে বিপ্লব, আয় ১২০ কোটি টাকার বেশি শেখ হাসিনার ফেরার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, কঠোর নজরদারিতে থাকবে উৎসব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে: সিইসি হজযাত্রী নিয়ে অনিশ্চয়তা: ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি এজেন্সিগুলোর প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বসানো উচিত হয়নি – মন্তব্য নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদের ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের যুগান্তকারী চুক্তি টেকনাফ উপকূলে আরাকান আর্মির দাপট: ট্রলারসহ ১১ জেলে অপহৃত মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায়: নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডে বাংলাদেশের চুক্তি সই কিছু মহল অধ্যাপক ইউনূসকে জোরপূর্বক আরও ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে চায়: মাহমুদুর রহমান মান্না

বাণিজ্য যুদ্ধের ছায়ায় মার্কিন শেয়ারবাজারে রেকর্ড পতন, উধাও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

 

করোনার মহামারির পর সবচেয়ে বড় ধাক্কায় কাঁপছে মার্কিন শেয়ারবাজার। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ওয়াল স্ট্রিট থেকে উধাও হয়ে গেছে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে ভয়াবহ আতঙ্ক।

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে শত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চীন পাল্টা জবাব দিয়ে জানায়, তারা ১০ এপ্রিল থেকে আমেরিকার সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসাবে। এ ঘোষণার পরপরই বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক শক্তি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি শুধু চীন নয়, আরও প্রায় ৭০টি দেশের ওপর প্রযোজ্য। তবে চীনের পাল্টা ঘোষণাই শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভয়াবহ পতন ঘটে ওয়াল স্ট্রিটে।

বিশ্বখ্যাত সূচক ডাউ জোন্স, এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ও নাসডাক কম্পোজিট সবকটিই ২০২০ সালের পর তাদের সবচেয়ে বড় দরপতনের সাক্ষী হয়। এসঅ্যান্ডপি-৫০০ এক দিনে পড়ে যায় ৬ শতাংশ, আর দুই দিনে মোট পতন দাঁড়ায় ১০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, ডাউ সূচক কমে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং নাসডাক হারায় ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।

শেয়ারবাজারের এই পতনের মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে ঠেকেছে। ‘ভীতি সূচক’ হিসেবে পরিচিত সিবিওই ভোলাটিলিটি ইনডেক্স এপ্রিল ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।

বিশ্বজুড়ে এই বাণিজ্য উত্তেজনার জেরে মন্দার আশঙ্কা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যানের সর্বশেষ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় ঢোকার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে যেখানে আগের পূর্বাভাস ছিল ৪০ শতাংশ।

বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এটি এক অশনি সংকেত। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অভিঘাত যে কতটা ব্যাপক হতে পারে, মার্কিন শেয়ারবাজার তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

বাণিজ্য যুদ্ধের ছায়ায় মার্কিন শেয়ারবাজারে রেকর্ড পতন, উধাও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ০২:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

 

করোনার মহামারির পর সবচেয়ে বড় ধাক্কায় কাঁপছে মার্কিন শেয়ারবাজার। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ওয়াল স্ট্রিট থেকে উধাও হয়ে গেছে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে ভয়াবহ আতঙ্ক।

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে শত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চীন পাল্টা জবাব দিয়ে জানায়, তারা ১০ এপ্রিল থেকে আমেরিকার সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসাবে। এ ঘোষণার পরপরই বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক শক্তি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি শুধু চীন নয়, আরও প্রায় ৭০টি দেশের ওপর প্রযোজ্য। তবে চীনের পাল্টা ঘোষণাই শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভয়াবহ পতন ঘটে ওয়াল স্ট্রিটে।

বিশ্বখ্যাত সূচক ডাউ জোন্স, এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ও নাসডাক কম্পোজিট সবকটিই ২০২০ সালের পর তাদের সবচেয়ে বড় দরপতনের সাক্ষী হয়। এসঅ্যান্ডপি-৫০০ এক দিনে পড়ে যায় ৬ শতাংশ, আর দুই দিনে মোট পতন দাঁড়ায় ১০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, ডাউ সূচক কমে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং নাসডাক হারায় ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।

শেয়ারবাজারের এই পতনের মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে ঠেকেছে। ‘ভীতি সূচক’ হিসেবে পরিচিত সিবিওই ভোলাটিলিটি ইনডেক্স এপ্রিল ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।

বিশ্বজুড়ে এই বাণিজ্য উত্তেজনার জেরে মন্দার আশঙ্কা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যানের সর্বশেষ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় ঢোকার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে যেখানে আগের পূর্বাভাস ছিল ৪০ শতাংশ।

বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এটি এক অশনি সংকেত। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অভিঘাত যে কতটা ব্যাপক হতে পারে, মার্কিন শেয়ারবাজার তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছে।