০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, শান্তিচুক্তির মাঝেও উত্তেজনা তুঙ্গে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 54

ছবি: সংগৃহীত

 

রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। বুধবার ভোরে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভ বন্দরে চালানো হামলায় শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। এ বন্দর দিয়েই ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। হামলার পর অঞ্চলটিতে সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

একইসঙ্গে মধ্য ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্রিভি রিহ-তেও চালানো হয়েছে ব্যাপক ড্রোন হামলা। শহরটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার ভিলকুল জানান, এটি শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা ছিল। তিনি বলেন, “স্পষ্টতই দখলদাররা এইভাবেই শান্তি চায়।” তবে আশার কথা, এই হামলায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

ক্রিভি রিহে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আগুন ধরে গেছে বেশ কিছু স্থানে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ভবন। শহরটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান এবং রাশিয়ান হামলার ঘন ঘন লক্ষ্যবস্তু হিসেবেও পরিচিত।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণ সাগরে ও জ্বালানিভিত্তিক অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় চুক্তিতে পৌঁছেছে। যদিও এসব চুক্তি কখন বাস্তবায়িত হবে বা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ১১৭টি ড্রোনের মধ্যে তারা ৫৬টি গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো নয়টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কৃষ্ণ সাগরের ওপরে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিহে হামলার ঘটনাগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে হামলার ধরন ও ব্যাপকতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও বাস্তবে তা এখনো অনেক দূরের পথ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, শান্তিচুক্তির মাঝেও উত্তেজনা তুঙ্গে

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। বুধবার ভোরে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভ বন্দরে চালানো হামলায় শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। এ বন্দর দিয়েই ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। হামলার পর অঞ্চলটিতে সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

একইসঙ্গে মধ্য ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্রিভি রিহ-তেও চালানো হয়েছে ব্যাপক ড্রোন হামলা। শহরটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার ভিলকুল জানান, এটি শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা ছিল। তিনি বলেন, “স্পষ্টতই দখলদাররা এইভাবেই শান্তি চায়।” তবে আশার কথা, এই হামলায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

ক্রিভি রিহে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আগুন ধরে গেছে বেশ কিছু স্থানে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ভবন। শহরটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান এবং রাশিয়ান হামলার ঘন ঘন লক্ষ্যবস্তু হিসেবেও পরিচিত।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণ সাগরে ও জ্বালানিভিত্তিক অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় চুক্তিতে পৌঁছেছে। যদিও এসব চুক্তি কখন বাস্তবায়িত হবে বা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ১১৭টি ড্রোনের মধ্যে তারা ৫৬টি গুলি করে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো নয়টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে দুটি ছিল কৃষ্ণ সাগরের ওপরে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিহে হামলার ঘটনাগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে হামলার ধরন ও ব্যাপকতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও বাস্তবে তা এখনো অনেক দূরের পথ।