ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আরো ১৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, এসআই গুরুতর আহত নোয়াখালীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় নিশ্চিত করতেই চার্জশীট দিতে দেরী হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারত নদীর পাড়ে,জঙ্গলে মানুষ ফেলে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ লোহাগড়ায় সাপের কামড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু সকল পাবলিক পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে ৮ শিক্ষককে আজীবনের জন্য অব্যাহতি ইরানে সুন্নি হামলায় নিহত ৫ গোপালগঞ্জে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের
মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের একজন ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার হয়ে কর্মরত, অপরজন ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সংবাদকর্মী।

গতকাল সোমবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হন ২৩ বছর বয়সী হোসাম শাবাত। তিনি আল-জাজিরা মুবাশ্বেরে কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোসামের গাড়ি লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই।

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি তারেক আবু আজ্জুম বলেন, কিছুদিন আগে আরেকটি হামলায় আহত হয়েছিলেন হোসাম, তবুও সাংবাদিকতা থামাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।

একই দিনে গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে নিজ বাড়িতে নিহত হন মোহাম্মদ মানসুর। তিনি ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সাংবাদিক ছিলেন। ওই সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও ছিলেন। এই হামলাও ছিল পূর্ব সতর্কতা ও কারণ ব্যতিরেকে চালানো, জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।

গাজা মিডিয়া অফিস (জিএমও) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে জিএমও বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যা ও গুম করার মতো জঘন্য অপরাধ ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর পাশাপাশি এর মদদদাতা দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকেও এ নৃশংসতার জন্য দায়ী করেছে। জিএমও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা গাজার সাংবাদিকদের ওপর চালানো এই পেশাগত গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।

সংবাদপত্র, গণমাধ্যম ও সত্য অনুসন্ধানের স্বাধীনতার ওপর এমন হামলা কেবল গাজা নয়, গোটা বিশ্ব সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা

আপডেট সময় ০৪:২৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের একজন ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার হয়ে কর্মরত, অপরজন ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সংবাদকর্মী।

গতকাল সোমবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হন ২৩ বছর বয়সী হোসাম শাবাত। তিনি আল-জাজিরা মুবাশ্বেরে কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোসামের গাড়ি লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই।

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি তারেক আবু আজ্জুম বলেন, কিছুদিন আগে আরেকটি হামলায় আহত হয়েছিলেন হোসাম, তবুও সাংবাদিকতা থামাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।

একই দিনে গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে নিজ বাড়িতে নিহত হন মোহাম্মদ মানসুর। তিনি ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সাংবাদিক ছিলেন। ওই সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও ছিলেন। এই হামলাও ছিল পূর্ব সতর্কতা ও কারণ ব্যতিরেকে চালানো, জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।

গাজা মিডিয়া অফিস (জিএমও) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে জিএমও বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যা ও গুম করার মতো জঘন্য অপরাধ ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর পাশাপাশি এর মদদদাতা দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিকেও এ নৃশংসতার জন্য দায়ী করেছে। জিএমও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা গাজার সাংবাদিকদের ওপর চালানো এই পেশাগত গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।

সংবাদপত্র, গণমাধ্যম ও সত্য অনুসন্ধানের স্বাধীনতার ওপর এমন হামলা কেবল গাজা নয়, গোটা বিশ্ব সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।