ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অনিবার্য : আসিফ নজরুল উত্তরা ইপিজেডে পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত ১ আহত অনেকে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর নতুন দর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস ভিএআর বিভ্রাটে বিতর্ক, ইয়ামালের গোলে ড্রয়ে রক্ষা পেল বার্সেলোনা আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৫০০ ছাড়িয়েছে ভিসা জালিয়াতদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আজীবন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি আঞ্চলিক-বৈশ্বিক পরিবর্তনে ইরান-চীন হাত মিলাচ্ছে

কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা : তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। এ ছাড়া নিহত কিশোরীর লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় রাকিব ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি সজিব এখনও পলাতক, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে এক কিশোরীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার বান্ধবীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি তারই বান্ধবী। পরে গ্রেপ্তার হয় শাওন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, রাকিব, সজিব ও আলী আকবরকে সঙ্গে নিয়ে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা : তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০১:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)। এ ছাড়া নিহত কিশোরীর লাশ গুমের অপরাধে প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় রাকিব ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং রায় ঘোষণার পরপরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি সজিব এখনও পলাতক, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে এক কিশোরীর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার বান্ধবীর জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি তারই বান্ধবী। পরে গ্রেপ্তার হয় শাওন। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং জানায়, রাকিব, সজিব ও আলী আকবরকে সঙ্গে নিয়ে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারাও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ।