ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

ট্রাম্প প্রশাসনের গ্রুপ চ্যাটে সামরিক পরিকল্পনার গোপন তথ্য, ‘ভুল করে’ সাংবাদিক যুক্ত!

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বার্তা চালাচালির অ্যাপে ‘সিগন্যাল’–এ গোপন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে চলা এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রুপ চ্যাটে ‘ভুল করে’ যুক্ত হয়ে যান এক সাংবাদিক। এতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রিসভার সদস্য, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ছিলেন ওই গ্রুপ চ্যাটে। বিস্ময়ের বিষয়, সেই গোপন গ্রুপে যুক্ত হয়ে পড়েন ‘দ্য অ্যাটলান্টিক’-এর সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গও।

গোল্ডবার্গ শুরুতে মনে করেছিলেন, এটি একটি প্রতারকদের তৈরি ভুয়া চ্যাট। তিনি নিজেই লিখেছেন, “জাতীয় নিরাপত্তার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা সিগন্যালের মতো অ্যাপে আলোচনা করছেন এটা বিশ্বাস করা কঠিন।”

কিন্তু সন্দেহ দূর হয় ১৫ মার্চ। ওইদিন ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর মার্কিন বিমান হামলা চালানো হয়। অথচ কয়েক ঘণ্টা আগেই গ্রুপ চ্যাটে সেই পরিকল্পনার কথা দেখতে পান গোল্ডবার্গ। ঘটনার সত্যতা বুঝে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন।

ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।” যদিও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং তার টিমের ওপর ট্রাম্পের পূর্ণ আস্থা আছে।”

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রেন হিউজেস জানিয়েছেন, “এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল। কীভাবে সাংবাদিকের নম্বর গ্রুপে যুক্ত হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ দাবি করেছেন, “গ্রুপে কোনো সামরিক পরিকল্পনা শেয়ার হয়নি।” তার বক্তব্য, “আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কারও দ্বারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন ঘটেনি।”

তবে ডেমোক্র্যাট নেতারা এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। হাউস সদস্য হাকিম জেফরিস তদন্ত দাবি করেছেন। সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেছেন, “এটি ভয়ংকর এবং বেআইনি। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে এমন দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যায় না।” এই ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প প্রশাসনের গ্রুপ চ্যাটে সামরিক পরিকল্পনার গোপন তথ্য, ‘ভুল করে’ সাংবাদিক যুক্ত!

আপডেট সময় ০১:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বার্তা চালাচালির অ্যাপে ‘সিগন্যাল’–এ গোপন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে চলা এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রুপ চ্যাটে ‘ভুল করে’ যুক্ত হয়ে যান এক সাংবাদিক। এতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রিসভার সদস্য, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ছিলেন ওই গ্রুপ চ্যাটে। বিস্ময়ের বিষয়, সেই গোপন গ্রুপে যুক্ত হয়ে পড়েন ‘দ্য অ্যাটলান্টিক’-এর সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গও।

গোল্ডবার্গ শুরুতে মনে করেছিলেন, এটি একটি প্রতারকদের তৈরি ভুয়া চ্যাট। তিনি নিজেই লিখেছেন, “জাতীয় নিরাপত্তার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা সিগন্যালের মতো অ্যাপে আলোচনা করছেন এটা বিশ্বাস করা কঠিন।”

কিন্তু সন্দেহ দূর হয় ১৫ মার্চ। ওইদিন ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর মার্কিন বিমান হামলা চালানো হয়। অথচ কয়েক ঘণ্টা আগেই গ্রুপ চ্যাটে সেই পরিকল্পনার কথা দেখতে পান গোল্ডবার্গ। ঘটনার সত্যতা বুঝে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন।

ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।” যদিও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং তার টিমের ওপর ট্রাম্পের পূর্ণ আস্থা আছে।”

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রেন হিউজেস জানিয়েছেন, “এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল। কীভাবে সাংবাদিকের নম্বর গ্রুপে যুক্ত হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ দাবি করেছেন, “গ্রুপে কোনো সামরিক পরিকল্পনা শেয়ার হয়নি।” তার বক্তব্য, “আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কারও দ্বারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন ঘটেনি।”

তবে ডেমোক্র্যাট নেতারা এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। হাউস সদস্য হাকিম জেফরিস তদন্ত দাবি করেছেন। সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেছেন, “এটি ভয়ংকর এবং বেআইনি। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে এমন দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যায় না।” এই ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।