ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

ধরলা তীরের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলল, সোনার ফসলে কৃষকের হাসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 68

ছবি সংগৃহীত

 

 

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর তীরবর্তী পতিত জমিগুলো যেন এখন স্বর্ণক্ষেত্র। আগে যেখানে কোনো ফসল হতো না, এখন সেখানে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। আর সেই কুমড়াই বদলে দিচ্ছে কৃষকদের ভাগ্য। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বিনা মূল্যের বীজে এবার আশাতীত ফলনে খুশি স্থানীয় চাষিরা।

পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ। নদীর পলিমাটিতে চাষ হওয়া গাছে ধরেছে গড়ে পাঁচ থেকে দশটি কুমড়া। প্রতিটি কুমড়ার ওজন প্রায় পাঁচ থেকে সাত কেজি। বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো লাভ করছেন চাষিরা।

চাষি সাফিউল ইসলাম বলেন, “ধরলা নদীর পাড়ের কাদা মাটিতে বীজ রোপণ করেই এমন ফলন পেয়েছি। এক-দুই মাসের মধ্যেই কুমড়া তুলবো। বর্ষাকালে বাজারে তুললে আরও ভালো দাম পাব।”

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি রবি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে কুমড়া চাষ হয়েছে প্রায় ৩০০ হেক্টরে। এতে বোঝা যাচ্ছে কৃষকদের আগ্রহ কতটা বেড়েছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও তারা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি উপসহকারী শাহিনুর রহমান বলেন, “আমরা চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ দিয়েছি, পরামর্শ দিয়েছি। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫-১০টি কুমড়া ধরেছে। এটা তাদের জীবিকায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, “ধরলা তীরের পতিত জমি কাজে লাগিয়ে আমরা মিষ্টি কুমড়ার চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।”

পটভূমিতে একসময় অনাবাদি পড়ে থাকা এই জমিগুলো আজ স্থানীয় কৃষকের জীবনে এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার আলো। মিষ্টি কুমড়ার সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বদলে দিচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষিচিত্র।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ধরলা তীরের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলল, সোনার ফসলে কৃষকের হাসি

আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

 

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর তীরবর্তী পতিত জমিগুলো যেন এখন স্বর্ণক্ষেত্র। আগে যেখানে কোনো ফসল হতো না, এখন সেখানে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। আর সেই কুমড়াই বদলে দিচ্ছে কৃষকদের ভাগ্য। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বিনা মূল্যের বীজে এবার আশাতীত ফলনে খুশি স্থানীয় চাষিরা।

পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ। নদীর পলিমাটিতে চাষ হওয়া গাছে ধরেছে গড়ে পাঁচ থেকে দশটি কুমড়া। প্রতিটি কুমড়ার ওজন প্রায় পাঁচ থেকে সাত কেজি। বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো লাভ করছেন চাষিরা।

চাষি সাফিউল ইসলাম বলেন, “ধরলা নদীর পাড়ের কাদা মাটিতে বীজ রোপণ করেই এমন ফলন পেয়েছি। এক-দুই মাসের মধ্যেই কুমড়া তুলবো। বর্ষাকালে বাজারে তুললে আরও ভালো দাম পাব।”

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি রবি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে কুমড়া চাষ হয়েছে প্রায় ৩০০ হেক্টরে। এতে বোঝা যাচ্ছে কৃষকদের আগ্রহ কতটা বেড়েছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও তারা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি উপসহকারী শাহিনুর রহমান বলেন, “আমরা চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ দিয়েছি, পরামর্শ দিয়েছি। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫-১০টি কুমড়া ধরেছে। এটা তাদের জীবিকায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার জানান, “ধরলা তীরের পতিত জমি কাজে লাগিয়ে আমরা মিষ্টি কুমড়ার চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।”

পটভূমিতে একসময় অনাবাদি পড়ে থাকা এই জমিগুলো আজ স্থানীয় কৃষকের জীবনে এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার আলো। মিষ্টি কুমড়ার সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বদলে দিচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষিচিত্র।