ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯ দফা সংস্কারে ইসির দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন ইসি সচিব ঈদে বাড়বে যৌথবাহিনীর তৎপরতা, অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা  বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা ভুতুড়ে টিআরপিতে বিপাকে টিভি চ্যানেল, জবাবদিহির দাবি গণমাধ্যম কমিশনের তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

এফ-৩৫ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিত, তুরস্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থান বদলের আভাস

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং স্থগিত থাকা এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলোচনা পর্বের পর ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর এই উদ্যোগ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আরোপ করা হয় নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা, যার ফলে দুই মিত্র দেশের মধ্যে সম্পর্কের রসায়নে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

তবে নতুন করে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের সম্ভাবনা তুরস্কের জন্য কৌশলগতভাবে বড় একটি জয় হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুরস্ককে পাশে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হতে পারে।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়টি কেবল সামরিক বাণিজ্যের দিক থেকেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক জোট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় একটি বার্তা বহন করে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় তুরস্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্ব বরাবরই আলোচনায় এসেছে, এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আবারও প্রমাণিত হতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক মহলে এই প্রস্তাব কতটা সমর্থন পায় এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা আদৌ কতদূর এগোয়। তুরস্কের পক্ষ থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই জটিল সময়ের প্রেক্ষিতে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এই সম্ভাব্য মোড় বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন আলোর দিশা দেখাতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

এফ-৩৫ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিত, তুরস্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থান বদলের আভাস

আপডেট সময় ০৪:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং স্থগিত থাকা এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলোচনা পর্বের পর ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর এই উদ্যোগ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আরোপ করা হয় নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা, যার ফলে দুই মিত্র দেশের মধ্যে সম্পর্কের রসায়নে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

তবে নতুন করে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের সম্ভাবনা তুরস্কের জন্য কৌশলগতভাবে বড় একটি জয় হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুরস্ককে পাশে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হতে পারে।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়টি কেবল সামরিক বাণিজ্যের দিক থেকেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক জোট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় একটি বার্তা বহন করে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় তুরস্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্ব বরাবরই আলোচনায় এসেছে, এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আবারও প্রমাণিত হতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক মহলে এই প্রস্তাব কতটা সমর্থন পায় এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা আদৌ কতদূর এগোয়। তুরস্কের পক্ষ থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই জটিল সময়ের প্রেক্ষিতে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এই সম্ভাব্য মোড় বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন আলোর দিশা দেখাতে পারে।