০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইসরায়েলের দিকে হুতিদের ব্যালিস্টিক হামলা, লক্ষ্য বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা জানায়, তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল এই হামলার মূল লক্ষ্য।

শনিবার (২২ মার্চ) ভোরে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি তাদের তৃতীয় আক্রমণ। তিনি আরও দাবি করেন, হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে অবস্থানরত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানের দিকেও হামলা চালিয়েছে। তবে এই দাবি প্রমাণসহ তুলে ধরেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সম্প্রতি ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন বাহিনীর চালানো বিমান হামলার জবাব হিসেবেই এই পাল্টা আঘাত হুতিদের পক্ষ থেকে আসছে। গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুদাইদা ও সানা প্রদেশে বড় ধরনের অভিযান চালায়, যাতে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক পদক্ষেপগুলোর একটি।

এই প্রেক্ষাপটে হুতিরা ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতেই তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শেষ দিকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজে শতাধিক হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলো শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে না, বিশ্ব বাণিজ্যকেও করছে বিপর্যস্ত।

বিশ্ব সম্প্রদায় এ ধরনের আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আরও বড় সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের দিকে হুতিদের ব্যালিস্টিক হামলা, লক্ষ্য বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর

আপডেট সময় ০৩:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা জানায়, তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল এই হামলার মূল লক্ষ্য।

শনিবার (২২ মার্চ) ভোরে হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি তাদের তৃতীয় আক্রমণ। তিনি আরও দাবি করেন, হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে অবস্থানরত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানের দিকেও হামলা চালিয়েছে। তবে এই দাবি প্রমাণসহ তুলে ধরেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সম্প্রতি ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন বাহিনীর চালানো বিমান হামলার জবাব হিসেবেই এই পাল্টা আঘাত হুতিদের পক্ষ থেকে আসছে। গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুদাইদা ও সানা প্রদেশে বড় ধরনের অভিযান চালায়, যাতে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক পদক্ষেপগুলোর একটি।

এই প্রেক্ষাপটে হুতিরা ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতেই তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শেষ দিকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজে শতাধিক হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলো শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে না, বিশ্ব বাণিজ্যকেও করছে বিপর্যস্ত।

বিশ্ব সম্প্রদায় এ ধরনের আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আরও বড় সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।