অ্যামাজনের ১৪ হাজার কর্মী চাকরিচ্যুত, প্রযুক্তি খাতে উদ্বেগ

- আপডেট সময় ১২:১৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / 48
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব এখনও কাটেনি। বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠান খরচ কমানোর লক্ষ্যে কর্মী সংখ্যা কমাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায়, বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ২০২৫ সালের মধ্যে একসঙ্গে ১৪ হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মূলত ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, অ্যামাজন বার্ষিক ২১০ কোটি থেকে ৩৬০ কোটি ডলার সাশ্রয় করতে চায়। এই লক্ষ্যে কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা প্রধানত ম্যানেজার পদে কর্মরত কর্মীদের ওপর প্রভাব ফেলবে।
বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, বাজারের প্রতিযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত খাতের পরিবর্তন বড় সংস্থাগুলোকে কর্মী সংখ্যা কমানোর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অ্যামাজনও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক ব্যয় কমানোর জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে একটি নতুন কাঠামো তৈরি করছে। যদিও ১৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হবে, ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫% নতুন নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে। অ্যামাজনের দাবি, মূলত অদক্ষ বা কম কার্যকর কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা হবে।
বর্তমানে অ্যামাজনে ১০৫,৭৭০ জন কর্মী ম্যানেজার পদে রয়েছেন। ১৪ হাজার কর্মী বাদ দিলে সেই সংখ্যা ৯১,৯৩৬ জনে নেমে আসবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছাঁটাই কোম্পানির কর্মসংস্কৃতি পরিবর্তন এবং কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কৌশলের অংশ।
অ্যামাজন এই প্রথম কর্মী ছাঁটাই করছে না; কোভিড-১৯ মহামারির সময় অনলাইন কেনাকাটার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল, ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রচুর কর্মী নিয়োগ করেছিল। তবে মহামারি পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বদলে যায়।
বিশ্বজুড়ে টেক কোম্পানিগুলোর ছাঁটাইয়ের এই প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা প্রভৃতি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও বিগত বছরে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে।
অ্যামাজনের এই সিদ্ধান্ত শুধু ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য নয়, পুরো প্রযুক্তি খাতের জন্য একটি সংকেতমূলক পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ছাঁটাইয়ের ফলে কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে এবং টেক ইন্ডাস্ট্রির চাকরির বাজার আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।
সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ কাজের সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। অ্যামাজনের মতো বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই পথে হাঁটতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।