ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

পাকিস্তানে ট্রেন অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৭ সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত, সন্ত্রাস দমনে অভিযান অব্যাহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠী এক যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৫৫ জন যাত্রীকে জিম্মি করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সফল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। হামলায় গোষ্ঠীটির ২৭ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং অভিযান চলমান রয়েছে।

বেলুচিস্তানের বোলান অঞ্চলে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে এই হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র গোষ্ঠী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে এবং ট্রেনের ৯টি বগিতে ৪০০ এরও বেশি যাত্রী ছিল। তবে, সশস্ত্র হামলাকারীদের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, অভিযান চলবে যতক্ষণ না সব জিম্মি মুক্ত না হয়। এর মধ্যে, ৫৭ জন যাত্রীকে কোয়েটায় আনা হয়েছে, বাকিরা স্থানীয় মাচ শহরে রয়েছেন।

যাত্রীদের উদ্ধার শুরুর পর সশস্ত্র গোষ্ঠী সদস্যরা ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ১৭ জন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে অবস্থিত ‘মাস্টারমাইন্ড’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বলে জানায় বাহিনী। তারা নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল, যার কারণে উদ্ধার অভিযানকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ হামলার ফলে বেলুচিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর কোয়েটা ও সিবি শহরের হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শাহবাজ শরিফ বলেন, “রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের উপর হামলা প্রমাণ করে যে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।”

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে, যা নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে ট্রেন অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৭ সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত, সন্ত্রাস দমনে অভিযান অব্যাহত

আপডেট সময় ০৩:২০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠী এক যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৫৫ জন যাত্রীকে জিম্মি করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সফল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। হামলায় গোষ্ঠীটির ২৭ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং অভিযান চলমান রয়েছে।

বেলুচিস্তানের বোলান অঞ্চলে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে এই হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র গোষ্ঠী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে এবং ট্রেনের ৯টি বগিতে ৪০০ এরও বেশি যাত্রী ছিল। তবে, সশস্ত্র হামলাকারীদের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

নিষিদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, অভিযান চলবে যতক্ষণ না সব জিম্মি মুক্ত না হয়। এর মধ্যে, ৫৭ জন যাত্রীকে কোয়েটায় আনা হয়েছে, বাকিরা স্থানীয় মাচ শহরে রয়েছেন।

যাত্রীদের উদ্ধার শুরুর পর সশস্ত্র গোষ্ঠী সদস্যরা ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ১৭ জন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে অবস্থিত ‘মাস্টারমাইন্ড’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বলে জানায় বাহিনী। তারা নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল, যার কারণে উদ্ধার অভিযানকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ হামলার ফলে বেলুচিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর কোয়েটা ও সিবি শহরের হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শাহবাজ শরিফ বলেন, “রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের উপর হামলা প্রমাণ করে যে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।”

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে, যা নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত দেয়।