ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করল আরব দেশগুলো, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় অনড় যুক্তরাষ্ট্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনার বিপরীতে মিশরের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, মিশরের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন হবে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। তবে এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে সরিয়ে সেখানে নতুন অবকাঠামো তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। সমালোচকদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থবিরোধী এবং তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা।

হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়েছে, মিশরের প্রস্তাব গাজার প্রকৃত বাস্তবতা তুলে ধরে না। তাই ট্রাম্প এখনো তার পরিকল্পনাতেই অনড় রয়েছেন। তবে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি জানিয়েছেন, আরব দেশগুলোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসও মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তিনি আশাবাদী যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও গাজায় সংঘাত বন্ধে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবশেষে সম্মত হবেন।

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষ করে গাজা কে পরিচালনা করবে এবং পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় কোটি কোটি ডলার সরবরাহ করবে কোন দেশগুলো, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে মিশর জানিয়েছে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব স্বাধীন ও পেশাদার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই কমিটি সাময়িকভাবে মানবিক সহায়তা তদারকি করবে এবং উপত্যকার বিভিন্ন বিষয়ের দেখভাল করবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে প্রশাসনিক দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই কমিটি কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, সম্মেলনের পর আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল ঘাইট ঘোষণা দেন, “এখন আর এটি শুধু মিশরের পরিকল্পনা নয়, এটি পুরো আরব বিশ্বের পরিকল্পনা।”

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করল আরব দেশগুলো, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় অনড় যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১১:০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনার বিপরীতে মিশরের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, মিশরের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন হবে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। তবে এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে সরিয়ে সেখানে নতুন অবকাঠামো তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। সমালোচকদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থবিরোধী এবং তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা।

হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়েছে, মিশরের প্রস্তাব গাজার প্রকৃত বাস্তবতা তুলে ধরে না। তাই ট্রাম্প এখনো তার পরিকল্পনাতেই অনড় রয়েছেন। তবে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি জানিয়েছেন, আরব দেশগুলোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসও মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তিনি আশাবাদী যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও গাজায় সংঘাত বন্ধে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবশেষে সম্মত হবেন।

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষ করে গাজা কে পরিচালনা করবে এবং পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় কোটি কোটি ডলার সরবরাহ করবে কোন দেশগুলো, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে মিশর জানিয়েছে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব স্বাধীন ও পেশাদার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই কমিটি সাময়িকভাবে মানবিক সহায়তা তদারকি করবে এবং উপত্যকার বিভিন্ন বিষয়ের দেখভাল করবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে প্রশাসনিক দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই কমিটি কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, সম্মেলনের পর আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল ঘাইট ঘোষণা দেন, “এখন আর এটি শুধু মিশরের পরিকল্পনা নয়, এটি পুরো আরব বিশ্বের পরিকল্পনা।”