০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে: স্কাই নিউজকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 112

ছবি সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ-এ দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বুধবার (৫ মার্চ) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, “তার অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ সরকারের হাতে রয়েছে। শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে।”

বিজ্ঞাপন

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে নেই। তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, তা নির্ভর করছে ভারতের অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক আইনের নির্দেশনার ওপর।” তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের জবাবের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র সামনে আসছে। “যদি আপনারা আয়না ঘরগুলো ঘুরে দেখেন এবং নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, কী ভয়ঙ্কর নিপীড়ন হয়েছে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, আয়না ঘরগুলো বর্তমানে সেনাবাহিনীর অধীনে থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে এগুলো জাদুঘরে রূপান্তর করার, যাতে জনগণ সেখানে গিয়ে ইতিহাস জানতে পারে।

ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিচারের প্রসঙ্গটি আন্তর্জাতিক মহলেও আলোড়ন তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত সরকার এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে: স্কাই নিউজকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময় ১০:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ-এ দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বুধবার (৫ মার্চ) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, “তার অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ সরকারের হাতে রয়েছে। শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে।”

বিজ্ঞাপন

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে নেই। তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, তা নির্ভর করছে ভারতের অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক আইনের নির্দেশনার ওপর।” তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের জবাবের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র সামনে আসছে। “যদি আপনারা আয়না ঘরগুলো ঘুরে দেখেন এবং নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, কী ভয়ঙ্কর নিপীড়ন হয়েছে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, আয়না ঘরগুলো বর্তমানে সেনাবাহিনীর অধীনে থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে এগুলো জাদুঘরে রূপান্তর করার, যাতে জনগণ সেখানে গিয়ে ইতিহাস জানতে পারে।

ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিচারের প্রসঙ্গটি আন্তর্জাতিক মহলেও আলোড়ন তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত সরকার এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।