ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা হলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং আরও দুই শিক্ষক।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল। তদন্তে এ সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ জানা গেছে, অভিযুক্তরা নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, যেখানে মেধার পরিবর্তে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের দুর্নীতি উচ্চশিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ শুধু যবিপ্রবিতেই নয়, দেশের আরও কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ: যবিপ্রবির সাবেক দুই ভিসিসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ০৪:৩২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা হলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং আরও দুই শিক্ষক।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল। তদন্তে এ সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ জানা গেছে, অভিযুক্তরা নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন, যেখানে মেধার পরিবর্তে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের দুর্নীতি উচ্চশিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ শুধু যবিপ্রবিতেই নয়, দেশের আরও কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।