ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

ভ্যাট অব্যাহতির নতুন ঘোষণা: তেল ও এলপি গ্যাসসহ যেসব পণ্যের ভ্যাট বাতিল করল এনবিআর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য এবং এলপি গ্যাসের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হঠাৎ করেই সোমবার (৩ মার্চ) এনবিআর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এতে বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল এবং কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি পাবে। তবে শর্ষে তেলের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর হতে পারে।

ব্যবসায় পর্যায়েও কিছু পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে। দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, বিভিন্ন ধরনের গুঁড়া মসলা, ডাল এবং ডালজাতীয় খাদ্যশস্যের ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও ব্যবসায় পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই আমদানি করে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে, তারা এই সুবিধা পাবে না। এতে স্থানীয় উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যাট অব্যাহতি পেতে ব্যবসায়ীদের কিছু শর্ত মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ ও মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল। এসব শর্ত পূরণ না করলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাতিল হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাট অব্যাহতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বাস্তবে এর প্রভাব নির্ভর করবে ব্যবসায়ীদের উপর। যদি তারা এই সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে। অন্যথায়, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে মূল্যহ্রাসের প্রতিফলন বাজারে নাও দেখা যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভ্যাট অব্যাহতির নতুন ঘোষণা: তেল ও এলপি গ্যাসসহ যেসব পণ্যের ভ্যাট বাতিল করল এনবিআর

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য এবং এলপি গ্যাসের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হঠাৎ করেই সোমবার (৩ মার্চ) এনবিআর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এতে বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল এবং কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি পাবে। তবে শর্ষে তেলের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর হতে পারে।

ব্যবসায় পর্যায়েও কিছু পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে। দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, বিভিন্ন ধরনের গুঁড়া মসলা, ডাল এবং ডালজাতীয় খাদ্যশস্যের ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও ব্যবসায় পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই আমদানি করে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে, তারা এই সুবিধা পাবে না। এতে স্থানীয় উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যাট অব্যাহতি পেতে ব্যবসায়ীদের কিছু শর্ত মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ ও মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল। এসব শর্ত পূরণ না করলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাতিল হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাট অব্যাহতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বাস্তবে এর প্রভাব নির্ভর করবে ব্যবসায়ীদের উপর। যদি তারা এই সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে। অন্যথায়, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে মূল্যহ্রাসের প্রতিফলন বাজারে নাও দেখা যেতে পারে।