যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের লবিং: সিরিয়াকে দুর্বল ও বিভক্ত রাখার নতুন কৌশল অবলম্বন
মধ্যপ্রাচ্যে নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে সিরিয়াকে দুর্বল ও বিভক্ত রাখার কৌশল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে লবিং চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে দেশটি ওয়াশিংটনের কাছে সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছে, যা মূলত তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা চারটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, সিরিয়ায় রাশিয়ার স্থিতিশীল সামরিক ঘাঁটি থাকা তুরস্কের আগ্রাসী নীতি রুখতে পারে। ইসরায়েল ওয়াশিংটনের কাছে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা ও প্রভাবকে একটি কৌশলগত হুমকি হিসেবে তুলে ধরছে এবং দাবি করছে, এই অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় মস্কোর সামরিক উপস্থিতি সহায়ক হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে এমন নীতির অনুসরণ করছে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত ও দুর্বল থাকে। কারণ, সিরিয়া যদি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়, তবে তা ইসরায়েলের জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ফলে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
ইসরায়েলের এই লবিং কার্যক্রমের ফলে সিরিয়ায় রাশিয়া ও তুরস্কের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ওয়াশিংটন এই প্রস্তাবের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত আধিপত্য বিস্তারের দৌঁড়ে ইসরায়েল ও তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন নতুন মাত্রা পাচ্ছে, তেমনি সিরিয়ার ভূখণ্ডকেও বিভিন্ন শক্তিধর দেশের স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। ফলে দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতি যে আরও জটিল হয়ে উঠছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।