ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ইদ/রোজা হয় কেন? বাংলাদেশে পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল থেকে রোজা শুরু যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তা বন্ধের হুমকি, সংকটে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের লবিং: সিরিয়াকে দুর্বল ও বিভক্ত রাখার নতুন কৌশল অবলম্বন সীমাহীন জ্বালানির সন্ধানে চীনের যুগান্তকারী আবিষ্কার! চলবে ৬০ হাজার বছর সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজিবি প্রধানের শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই, দেড় মাসের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব: চিফ প্রসিকিউটর উত্তরাখণ্ডে তুষারধসের আঘাতে নিহত ৪, এখনো নিখোঁজ ৫ – উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ডিজেল-কেরোসিন ও পেট্রল-অকটেনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি মেটার নতুন এআই অ্যাপ: চ্যাটজিপিটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি

সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজিবি প্রধানের

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলে, সেই দেশের অনুপ্রবেশকারীদের আইনগতভাবে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির নবগঠিত ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

বিজিবি প্রধান বলেন, “সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কোনো কারণেই এই হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। এটি সমস্যার সমাধান নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। যদি সীমান্ত হত্যা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”

তিনি জানান, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট। এসব ঘটনা মূলত ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে এবং শূন্যরেখায় অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অযথা প্রাণহানি ঠেকাতে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।”

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানান বিজিবি প্রধান। তিনি সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কেউ ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম না করে।

সীমান্তে প্রাণহানি রোধে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিজিবির কঠোর নজরদারি যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাহিনী প্রধান। এখন দেখার বিষয়, এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয় এবং ভারত সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে কী ভূমিকা রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজিবি প্রধানের

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলে, সেই দেশের অনুপ্রবেশকারীদের আইনগতভাবে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির নবগঠিত ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

বিজিবি প্রধান বলেন, “সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কোনো কারণেই এই হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। এটি সমস্যার সমাধান নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। যদি সীমান্ত হত্যা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”

তিনি জানান, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট। এসব ঘটনা মূলত ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে এবং শূন্যরেখায় অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অযথা প্রাণহানি ঠেকাতে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।”

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানান বিজিবি প্রধান। তিনি সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কেউ ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম না করে।

সীমান্তে প্রাণহানি রোধে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিজিবির কঠোর নজরদারি যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাহিনী প্রধান। এখন দেখার বিষয়, এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয় এবং ভারত সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে কী ভূমিকা রাখে।