ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

মৎস্য উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি: অসাধু ব্যবসায়ীদের ছাড় নয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 30

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের মৎস্য খাতকে সুরক্ষিত ও টেকসই করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মৎস্য উপদেষ্টা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নের স্বার্থে নকল পণ্য, ভেজাল খাদ্য ও অনৈতিক মজুদদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য খাদ্যে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর সংরক্ষণ এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে সাধারণ চাষিরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারা নিরাপদ মাছ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। এসব অনিয়ম রোধ করতে মৎস্য উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন।

মৎস্য উপদেষ্টা স্পষ্ট করেছেন যে, যেসব অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম ভঙ্গ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন তারা বাজার পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

তিনি মৎস্য ব্যবসায়ীদের প্রতি নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করেছেন এবং সাধারণ জনগণকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার বা অন্য কোনো অবৈধ উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করবে, তাদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

মৎস্য খাতকে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও লাভজনক করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ বিষয়ে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে এবং চাষিদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে যেন তারা কোনো অসাধু ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার না হন।

মৎস্য উপদেষ্টার এই হুঁশিয়ারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা সততার সঙ্গে ব্যবসা করেন, তারা নিশ্চিন্তে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে যারা অন্যায্য উপায়ে মৎস্য খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মৎস্য উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি: অসাধু ব্যবসায়ীদের ছাড় নয়

আপডেট সময় ০৫:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

দেশের মৎস্য খাতকে সুরক্ষিত ও টেকসই করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মৎস্য উপদেষ্টা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নের স্বার্থে নকল পণ্য, ভেজাল খাদ্য ও অনৈতিক মজুদদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য খাদ্যে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর সংরক্ষণ এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে সাধারণ চাষিরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারা নিরাপদ মাছ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। এসব অনিয়ম রোধ করতে মৎস্য উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন।

মৎস্য উপদেষ্টা স্পষ্ট করেছেন যে, যেসব অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম ভঙ্গ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন তারা বাজার পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

তিনি মৎস্য ব্যবসায়ীদের প্রতি নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করেছেন এবং সাধারণ জনগণকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার বা অন্য কোনো অবৈধ উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করবে, তাদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

মৎস্য খাতকে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও লাভজনক করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ বিষয়ে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে এবং চাষিদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে যেন তারা কোনো অসাধু ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার না হন।

মৎস্য উপদেষ্টার এই হুঁশিয়ারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা সততার সঙ্গে ব্যবসা করেন, তারা নিশ্চিন্তে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে যারা অন্যায্য উপায়ে মৎস্য খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।