ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউক্রেনের নতুন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব: সম্পদ থাকবে ইউক্রেনের, নিয়ন্ত্রণ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা: আপিল বিভাগে শুনানি মঙ্গলবার ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের অভিযোগে বিবিসিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ৩.৯৮ লাখ ডলারের জরিমানা জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন সম্ভব: সংস্কার কমিশনের অভিমত পুঁজিবাজার: বাজারের উত্থান-পতনে আজকের ডিএসই ও সিএসই-এ চলছে লেনদেন  চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ হাই ভোল্টেজ ম্যাচ, মুখোমুখি হচ্ছে চির প্রতিদ্বন্দ্বি ভারত-পাকিস্তান     কুয়েটে সংঘর্ষের প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে ঢাকায় শিক্ষার্থীরা ট্রাম্পের দাবি: মার্কিন নাগরিকত্বের আইন ছিল দাসদের সন্তানদের জন্য, অভিবাসীদের জন্য নয় জাতিসংঘে ইউক্রেনের প্রস্তাব প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, কূটনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ইংলিশ ঝড়ে ম্লান ডাকেটের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি, বিশ্বরেকর্ডের সাক্ষী হল অস্ট্রেলিয়ার জয় 

ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ইরানের সামরিক বাহিনী আজ থেকে বিশাল পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো ‘নতুন প্রজন্মের স্মার্ট অস্ত্র’ প্রদর্শন করা হবে। দেশটির সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর যৌথ এই মহড়া ইরানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার হাবিবোল্লাহ সাইয়ারি।

‘Zolfaghar 1403’ নামের এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে মাকরান উপকূল, ওমান সাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে। এতে উন্নত প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্রের লাইভ-ফায়ার পরীক্ষা করা হবে। কমান্ডার সাইয়ারি জানিয়েছেন, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে আসা যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে দ্রুত একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি দেখতে চান। তবে চুক্তি না হলে ইসরায়েল ইরানের ওপর বড় ধরনের সামরিক হামলা চালাতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ সংলাপে বসতে প্রস্তুত, তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। ইরানের এই সামরিক মহড়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি শক্ত বার্তা হিসেবে দেখছেন, যা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বকেও সতর্ক করবে।

এই মহড়ায় অত্যাধুনিক ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও নৌ প্রতিরক্ষার নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অস্ত্রগুলো প্রতিরক্ষাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করে তুলবে।

এই সামরিক প্রদর্শনী ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে ইরানের এই মহড়া কতটা কৌশলগত প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ইরানের সামরিক বাহিনী আজ থেকে বিশাল পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো ‘নতুন প্রজন্মের স্মার্ট অস্ত্র’ প্রদর্শন করা হবে। দেশটির সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর যৌথ এই মহড়া ইরানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার হাবিবোল্লাহ সাইয়ারি।

‘Zolfaghar 1403’ নামের এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে মাকরান উপকূল, ওমান সাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে। এতে উন্নত প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্রের লাইভ-ফায়ার পরীক্ষা করা হবে। কমান্ডার সাইয়ারি জানিয়েছেন, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে আসা যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে দ্রুত একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি দেখতে চান। তবে চুক্তি না হলে ইসরায়েল ইরানের ওপর বড় ধরনের সামরিক হামলা চালাতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ সংলাপে বসতে প্রস্তুত, তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। ইরানের এই সামরিক মহড়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি শক্ত বার্তা হিসেবে দেখছেন, যা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বকেও সতর্ক করবে।

এই মহড়ায় অত্যাধুনিক ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও নৌ প্রতিরক্ষার নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অস্ত্রগুলো প্রতিরক্ষাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করে তুলবে।

এই সামরিক প্রদর্শনী ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে ইরানের এই মহড়া কতটা কৌশলগত প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।