ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সংবিধান সংস্কার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ভারতে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আতঙ্ক, ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানি ৩ জনের ঈদের আনন্দে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তায় সজাগ প্রশাসন চামড়ার দরপতন নিয়ে আগামী বছর থাকবে সামষ্টিক কর্মপরিকল্পনা: বাণিজ্য উপদেষ্টা দিনাজপুরে লিচুবাহী ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ এই আর্জেন্টাইন দল মেসিকে ছাড়াও খেলতে অভ্যস্ত: কোচ লিওনেল স্কালোনি গরমে অতিরিক্ত মাংস খেলে যে সমস্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনার নতুন ধরন মোকাবেলায় ৫ জরুরি নির্দেশনা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে গ্রেপ্তার করা হলে বিষয়টি ‘দারুণ’ হবে: মন্তব্য ট্রাম্পের

প্রেমের ফাঁদে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটির গোপন তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান আইএসআই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি, ‘আইএনএস কদম্ব’, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এক নারী সদস্যের মাধ্যমে দুই ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তারা।

উল্লেখযোগ্য যে, ‘আইএনএস কদম্ব’ ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১১ হাজার একর জমির উপর এই নৌঘাঁটি বিস্তৃত। এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি হলেও, সম্প্রসারণ কাজ শেষে এটি পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হবে।

এই ঘাঁটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত ২০২৩ সাল থেকে ওই দুই ভারতীয় ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এভাবে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই কর্মীকে আইএনএস কদম্বের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও, নথি এবং ভবনের নকশা সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে প্রদান করত। আট মাস ধরে অর্থের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করার পর, তথ্য পাচার হয় পাকিস্তানে। এর মাধ্যমে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, জাহাজের টহল পথে থাকা, অপারেশনাল স্থিতি এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য আইএসআই’র হাতে পৌঁছেছে।

গত বছরও ভারতের বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে একই ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেমের ফাঁদে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটির গোপন তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান আইএসআই

আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি, ‘আইএনএস কদম্ব’, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এক নারী সদস্যের মাধ্যমে দুই ভারতীয় ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে তারা।

উল্লেখযোগ্য যে, ‘আইএনএস কদম্ব’ ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১১ হাজার একর জমির উপর এই নৌঘাঁটি বিস্তৃত। এটি বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাঁটি হলেও, সম্প্রসারণ কাজ শেষে এটি পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হবে।

এই ঘাঁটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা নাফিসা জান্নাত ২০২৩ সাল থেকে ওই দুই ভারতীয় ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এভাবে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই দুই কর্মীকে আইএনএস কদম্বের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও, নথি এবং ভবনের নকশা সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে প্রদান করত। আট মাস ধরে অর্থের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করার পর, তথ্য পাচার হয় পাকিস্তানে। এর মাধ্যমে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, জাহাজের টহল পথে থাকা, অপারেশনাল স্থিতি এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য আইএসআই’র হাতে পৌঁছেছে।

গত বছরও ভারতের বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে একই ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে।