গরমে বিদ্যুৎ সংকট বাড়তে পারে, রোজার মাসে বাড়বে লোডশেডিং
শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে, আর তার সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। বিশেষ করে মার্চে এই চাহিদা আরও বাড়তে পারে, তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা বেশি হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না, ফলে কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই অল্প সময়ের জন্য লোডশেডিং শুরু হয়েছে। রোজার মাসে এই লোডশেডিং আরও নিয়মিত হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মার্চে বিদ্যুৎ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে, যা এপ্রিল মাসে ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত যেতে পারে। গত বছর এই সময় ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল, এবার তা ১৩ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে। তবে ঘাটতি মেটাতে এবারের গ্রীষ্মে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৫ ফেব্রুয়ারি এক সভায় বলেন, “লোডশেডিং ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে, বিশেষ করে গরমে এসি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এসি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, গ্যাস ও কয়লা থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তবে সরবরাহে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যদি তেলচালিত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারে, তবে গরমের সময়ে দৈনিক ২-৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে।
গত নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত লোডশেডিং ছিল, কিন্তু শীতের কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে বিদ্যুৎ চাহিদা ১১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে, যা আগামী মাসে আরও বাড়বে।