ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য পরিকল্পনা: চীনের সঙ্গে করবেন একতরফা বাণিজ্য পুনর্গঠন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 35

ছবি: সংগৃহীত

 

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে নতুন একতরফা বাণিজ্য চুক্তির পরিকল্পনা করছেন, যা মূলত বেইজিংকে আরও বেশি আমেরিকান পণ্য ক্রয়ে বাধ্য করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে।

ট্রাম্পের মতে, আগের চুক্তিগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এবার তিনি এমন একটি চুক্তি করতে চান যেখানে আমেরিকার স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করেছেন, চীনকে আরও বেশি মার্কিন পণ্য কিনতে বাধ্য করতে হবে এবং ওয়াশিংটনের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য বেইজিংয়ের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা মূলত তার আগের প্রশাসনের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতিরই প্রতিফলন, যেখানে বাণিজ্য চুক্তিগুলোকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এই ধরনের কঠোর অবস্থান বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।

চীনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, বেইজিং কোনো একতরফা চুক্তিতে যেতে আগ্রহী হবে না। বরং, তারা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইবে।

বিশ্ব অর্থনীতির ওপর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্কের বিশাল প্রভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, চীন কীভাবে এই নতুন চাপের জবাব দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কী অবস্থান নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য পরিকল্পনা: চীনের সঙ্গে করবেন একতরফা বাণিজ্য পুনর্গঠন

আপডেট সময় ১১:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে নতুন একতরফা বাণিজ্য চুক্তির পরিকল্পনা করছেন, যা মূলত বেইজিংকে আরও বেশি আমেরিকান পণ্য ক্রয়ে বাধ্য করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে।

ট্রাম্পের মতে, আগের চুক্তিগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এবার তিনি এমন একটি চুক্তি করতে চান যেখানে আমেরিকার স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করেছেন, চীনকে আরও বেশি মার্কিন পণ্য কিনতে বাধ্য করতে হবে এবং ওয়াশিংটনের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য বেইজিংয়ের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা মূলত তার আগের প্রশাসনের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতিরই প্রতিফলন, যেখানে বাণিজ্য চুক্তিগুলোকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এই ধরনের কঠোর অবস্থান বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।

চীনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, বেইজিং কোনো একতরফা চুক্তিতে যেতে আগ্রহী হবে না। বরং, তারা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইবে।

বিশ্ব অর্থনীতির ওপর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্কের বিশাল প্রভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, চীন কীভাবে এই নতুন চাপের জবাব দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কী অবস্থান নেয়।