ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া তাসমান সাগরে চীনের সামরিক মহড়া, উড়োজাহাজের রুট পরিবর্তন ক্রিপ্টো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হ্যাক: Bybit থেকে উধাও ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার! রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ পেরুর শপিং সেন্টারে ফুড কোর্টের ছাদ ধসে নিহত ৩, আহত ৭৪ সুনামগঞ্জে শিরনি নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ, ৩০ জন আহত পরিবেশ রক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুযোগ পেলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: তারেক রহমান তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও চেনার উপায় ডিপিএলে ২০২৫ মৌসুমে নাম তুললেন সাকিব, তবে কি দেশে ফেরার ইঙ্গিত?

তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: মার্কিন কৃষি বিভাগ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

২০২৪-২৫ বাণিজ্য বছরে তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। মূলত তৈরি পোশাক খাতে চাহিদা বাড়ায় তুলা আমদানি বেড়েছে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বাণিজ্য বছরের শেষে বাংলাদেশের তুলা আমদানি ৮০ লাখ বেলে পৌঁছাতে পারে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় দুই লাখ বেল বেশি। অন্যদিকে, চীনের আমদানি কমে ৭৩ লাখ বেলে নামতে পারে। ফলে বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে উঠে আসবে।

তবে দেশের বস্ত্রকল মালিকরা বলছেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অধিকাংশ মিল পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, “আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা কম থাকায় শেষ পর্যন্ত এত তুলা আমদানি হবে না। এর বড় অংশ সুতা আকারে ভারত থেকে আসবে।”

বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল থাকলেও অনেকগুলো বন্ধ বা আংশিক চালু রয়েছে। এসব মিল নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১৮.৮৯ লাখ টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯% বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।

বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গ্যাস-সংকটের কারণে মিলগুলো অর্ধেক চালু, অর্ধেক বন্ধ। ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস-সংকট নিরসন না হলে তুলা আমদানি বাড়লেও দেশীয় বস্ত্র শিল্প কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবে না, বরং ভারতীয় সুতা ও কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: মার্কিন কৃষি বিভাগ

আপডেট সময় ১০:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

২০২৪-২৫ বাণিজ্য বছরে তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। মূলত তৈরি পোশাক খাতে চাহিদা বাড়ায় তুলা আমদানি বেড়েছে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বাণিজ্য বছরের শেষে বাংলাদেশের তুলা আমদানি ৮০ লাখ বেলে পৌঁছাতে পারে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় দুই লাখ বেল বেশি। অন্যদিকে, চীনের আমদানি কমে ৭৩ লাখ বেলে নামতে পারে। ফলে বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে উঠে আসবে।

তবে দেশের বস্ত্রকল মালিকরা বলছেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অধিকাংশ মিল পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, “আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা কম থাকায় শেষ পর্যন্ত এত তুলা আমদানি হবে না। এর বড় অংশ সুতা আকারে ভারত থেকে আসবে।”

বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল থাকলেও অনেকগুলো বন্ধ বা আংশিক চালু রয়েছে। এসব মিল নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১৮.৮৯ লাখ টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯% বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।

বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গ্যাস-সংকটের কারণে মিলগুলো অর্ধেক চালু, অর্ধেক বন্ধ। ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস-সংকট নিরসন না হলে তুলা আমদানি বাড়লেও দেশীয় বস্ত্র শিল্প কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবে না, বরং ভারতীয় সুতা ও কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে।