তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: মার্কিন কৃষি বিভাগ
২০২৪-২৫ বাণিজ্য বছরে তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। মূলত তৈরি পোশাক খাতে চাহিদা বাড়ায় তুলা আমদানি বেড়েছে।
ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বাণিজ্য বছরের শেষে বাংলাদেশের তুলা আমদানি ৮০ লাখ বেলে পৌঁছাতে পারে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় দুই লাখ বেল বেশি। অন্যদিকে, চীনের আমদানি কমে ৭৩ লাখ বেলে নামতে পারে। ফলে বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে উঠে আসবে।
তবে দেশের বস্ত্রকল মালিকরা বলছেন, গ্যাস-সংকটের কারণে অধিকাংশ মিল পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, “আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা কম থাকায় শেষ পর্যন্ত এত তুলা আমদানি হবে না। এর বড় অংশ সুতা আকারে ভারত থেকে আসবে।”
বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল থাকলেও অনেকগুলো বন্ধ বা আংশিক চালু রয়েছে। এসব মিল নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১৮.৮৯ লাখ টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯% বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।
বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গ্যাস-সংকটের কারণে মিলগুলো অর্ধেক চালু, অর্ধেক বন্ধ। ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস-সংকট নিরসন না হলে তুলা আমদানি বাড়লেও দেশীয় বস্ত্র শিল্প কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবে না, বরং ভারতীয় সুতা ও কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে।