ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে: রিয়াদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 39

ছবি: সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এক ধাপ এগিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম পুনরায় চালুর বিষয়ে সম্মত হন। বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই তথ্য জানান।

রুবিও বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে। এর আগে, ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের কারণে ওয়াশিংটন রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

নতুন মার্কিন প্রশাসনের অধীনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি। গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় রিয়াদে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রুবিও জানান, উভয় পক্ষ দ্রুত তাদের কূটনৈতিক মিশনের কাজ পুনরায় শুরু করতে একটি বিশেষ দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে উভয় দেশের দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং কর্মীসংখ্যা কমে আসে। এর ফলে মস্কো ও ওয়াশিংটনে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মিশন পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়।

তবে, এই আলোচনার ফলে সম্পর্কের বরফ কতটা গলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। রুবিও বলেন, “দুই দেশের কূটনৈতিক মিশন কীভাবে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে না।”

এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ কেবল কূটনৈতিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ না থেকে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আলোচনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, যা ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনের পথকেও সুগম করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে: রিয়াদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

আপডেট সময় ১১:১৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এক ধাপ এগিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম পুনরায় চালুর বিষয়ে সম্মত হন। বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই তথ্য জানান।

রুবিও বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে। এর আগে, ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের কারণে ওয়াশিংটন রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

নতুন মার্কিন প্রশাসনের অধীনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি। গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় রিয়াদে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রুবিও জানান, উভয় পক্ষ দ্রুত তাদের কূটনৈতিক মিশনের কাজ পুনরায় শুরু করতে একটি বিশেষ দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে উভয় দেশের দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং কর্মীসংখ্যা কমে আসে। এর ফলে মস্কো ও ওয়াশিংটনে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মিশন পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হয়।

তবে, এই আলোচনার ফলে সম্পর্কের বরফ কতটা গলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। রুবিও বলেন, “দুই দেশের কূটনৈতিক মিশন কীভাবে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে না।”

এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ কেবল কূটনৈতিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ না থেকে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আলোচনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, যা ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনের পথকেও সুগম করবে।