০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

ইলন মাস্কের বিস্ফোরক দাবি: সরকারি অর্থায়নে সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন নেই!

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 84

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান সরকারি সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) ও রেডিও ফ্রি ইউরোপ (আরএফই) বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্কের মতে, করদাতাদের টাকায় চলা সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রয়োজন নেই এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে হবে, সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়।

এই মন্তব্য প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের “সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন” বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণের পর মাস্কের এই দাবিকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, গণমাধ্যমের বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত এবং এতে করদাতাদের অর্থ ব্যবহার করা অপ্রত্যাশিত। তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, ভিওএ ও আরএফই শুধুমাত্র সংবাদ প্রচারক নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক এবং তথ্যযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব সংবাদমাধ্যম শোষণমুক্ত তথ্য পরিবেশন করে এবং স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রামে সহায়তা করে।

ভিওএ ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়, মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে। আরএফই ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া এই গণমাধ্যমগুলোকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।

মাস্কের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন, তবে এই উদ্যোগ আরও তীব্র হতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইলন মাস্কের বিস্ফোরক দাবি: সরকারি অর্থায়নে সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন নেই!

আপডেট সময় ০৫:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সম্প্রতি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান সরকারি সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) ও রেডিও ফ্রি ইউরোপ (আরএফই) বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্কের মতে, করদাতাদের টাকায় চলা সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রয়োজন নেই এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে হবে, সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়।

এই মন্তব্য প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের “সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন” বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণের পর মাস্কের এই দাবিকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, গণমাধ্যমের বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত এবং এতে করদাতাদের অর্থ ব্যবহার করা অপ্রত্যাশিত। তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, ভিওএ ও আরএফই শুধুমাত্র সংবাদ প্রচারক নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক এবং তথ্যযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব সংবাদমাধ্যম শোষণমুক্ত তথ্য পরিবেশন করে এবং স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রামে সহায়তা করে।

ভিওএ ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়, মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে। আরএফই ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া এই গণমাধ্যমগুলোকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।

মাস্কের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন, তবে এই উদ্যোগ আরও তীব্র হতে পারে।