জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণ
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কর্মকাণ্ড ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট ছিল।
পরিষদে এমন কিছু দেশ সদস্য হয়েছে, যাদের নিজেদের মানবাধিকার রেকর্ড দুর্বল বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে।
পরিষদে ইসরায়েলবিরোধী সিদ্ধান্ত বেশি নেওয়া হয় বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে।
ইসরায়েল ইস্যু
UNHRC প্রায়শই ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতে, পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সমালোচনামূলক এবং পক্ষপাতদুষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অন্য দেশগুলোর বিষয়ে পরিষদ পর্যাপ্ত কঠোর পদক্ষেপ নেয় না।
UNRWA-তে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধ
জাতিসংঘের প্যালেস্টাইনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (UNRWA) অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকে, যার একটি বড় অংশ আগে যুক্তরাষ্ট্র দিত।
UNHRC থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, এই সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নও বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিণতি ও প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে পারে।
ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে এবং ফিলিস্তিনপন্থী দেশগুলো বিরোধিতা করতে পারে।
এতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
মার্কিন প্রশাসনের মতে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং পরিষদের কাজ পক্ষপাতদুষ্ট। তাই, ট্রাম্প প্রশাসন এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করছে।