অনির্দিষ্টকাল সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক ঘোষণা আসেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় কলেজের শিক্ষার্থী সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’ এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তারা জানিয়েছে, এই কর্মসূচির আওতায় সড়ক ও রেলপথ অবরুদ্ধ করা হবে। তবে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের কারণে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অবরোধ শিথিল থাকবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো
১. সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে হবে এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বা তাদের আবাসন খরচ বহন করতে হবে।
৪. নতুন দুটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভাগ ‘আইন’ ও ‘জার্নালিজম’ সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রমের মানোন্নয়নে পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে আসন সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে।
৭. গবেষণার মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া:
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা বলছে, যতক্ষণ না সরকার তাদের সাত দফা দাবি মেনে নিচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। তাদের মতে, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে এবং তিতুমীর কলেজের হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এই রূপান্তর প্রয়োজন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টায় শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিয়েছিল যে, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা না এলে কঠোর আন্দোলনে যাবে। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির পথে হাঁটছে।