ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের ‘না’, প্রস্তাবে যা বলেছে ইসরায়েল ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন তালেবান আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, রায় দিল রাশিয়া গুগল এখন অস্ত্র ও নজরদারির জন্য এআই তৈরি করছে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত, ৪ জন আহত — সন্দেহভাজন আটক ইসরায়েল সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহকে হটাতে কাজ করছে লেবানন সেনাবাহিনী সিরিয়ার স্বৈরশাসকের মূল্যবান সম্পদ পাচারে গোপন বিমান মিশন

আমরা বলতে চাই কথা, খবরের কথা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

 

প্রতিদিন ঘটছে নানা ঘটনাপ্রবাহ। দেশ কিংবা সারা বিশ্বের এই সব ঘটনাপ্রবাহের নজর কাড়ে বা মানুষ জানতে চাই সহজাত প্রবণতা থেকে। সব ঘটনায় কি সংবাদ নাকি সংবাদযোগ্য ঘটনাই সংবাদ সে আলোচনার চেয়ে মূখ্য হলো সংবাদ মানুষ জানতে চাই বা জানানোটা জরুরি হয়ে পড়ে। দেশে দেশে অসংখ্য সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রচারের কাজ করে থাকে এবং তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে তা মূহুর্তে মানুষের কাছে পৌঁছে যায় । আমরা সংবাদ প্রচার বা প্রকাশের মাধ্যমের বিবর্তন দেখেছি কালের চক্রে বা সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে। মনে পড়ে আমাদের সময়ে গ্রামে সংবাদ শুনার একমাত্র মাধ্যমে ছিল রেডিও।টেলিভিশন গ্রামে তখনও পৌঁছাইনি। রেডিওতে বাংলাদেশ বেতার, বিবিসি বাংলা , ভয়েস অব আমেরিকার, ডয়েচে ভেলে এসব মাধ্যমে সংবাদ শুনতাম বা কখনো কখনো সংবাদ শুনার জন্য অপেক্ষা করতাম।পত্রিকা আসতো স্কুল লাইব্রেরিতে। ক্লাসের ফাঁকে বা টিফিন ব্রেকে পত্রিকা পড়ার সুযোগ হতো। বিগত দুই দশকে তথ্যপ্রযুক্তির যে অভাবনীয় পরিবর্তন হলো তার ব্যাপক প্রভাব পড়লো সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকতার উপর।

এখন রেডিও, টেলিভিশন, ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বা পত্রিকা , সামাজিক মাধ্যম কিংবা মোবাইলের নিউজ এলার্টের মাধ্যমেও আমরা সংবাদ পাচ্ছি। আবার অসংখ্য মাধ্যম থাকায় সংবাদ পাঠকরা সহজেই এর বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই এ তৎপর হচ্ছে বা সুযোগ থাকছে। কিছু কিছু সংবাদ বা খবরে সামাজিক মাধ্যমে মানুষের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ার মতো। কোন কোন ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যম বা সাংবাদিকদের উপস্হিতি বা অনুপস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষ লাইভ করে বা প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে পোস্ট করছে এবং তা সকলের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। এতে জনমত গড়ে তোলাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করলে বলা যায়, ২০২৪ সালে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগার সাথে সাথে জনসাধারণ সামাজিক মাধ্যমে লাইভ বা পোস্ট করে। এতে তাৎক্ষণিক খবর ছড়িয়ে পড়লে আগুণ নেভানোর জন্য ব্যাপক জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে সেইসাথে সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান তথা ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন শুরু করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।

গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চর্তুথ স্তম্ভ বলা হয়। গণমাধ্যম হিসেবে ‘খবরের কথা’ যথার্থ দায়িত্ব পালন ও ভূমিকা রাখতে চায়। তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যম আমাদের বিচরণ ক্ষেত্রে। খবরের কথা শুধু সংবাদ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে তা নয় বরং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সমালোচনা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করার মাধ্যমে জনগণের মতামত গঠনে ভূমিকা পালন করবে। তাই আত্নবিশ্বাস ও দৃঢ়তায় মনে ব্যক্ত হয় , স্বদেশ কিংবা সারা বিশ্ব সব ঘটনার সকল কথা, আমরা বলতে চাই কথা, ‘খবরে কথা ‘।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা বলতে চাই কথা, খবরের কথা

আপডেট সময় ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

প্রতিদিন ঘটছে নানা ঘটনাপ্রবাহ। দেশ কিংবা সারা বিশ্বের এই সব ঘটনাপ্রবাহের নজর কাড়ে বা মানুষ জানতে চাই সহজাত প্রবণতা থেকে। সব ঘটনায় কি সংবাদ নাকি সংবাদযোগ্য ঘটনাই সংবাদ সে আলোচনার চেয়ে মূখ্য হলো সংবাদ মানুষ জানতে চাই বা জানানোটা জরুরি হয়ে পড়ে। দেশে দেশে অসংখ্য সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রচারের কাজ করে থাকে এবং তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে তা মূহুর্তে মানুষের কাছে পৌঁছে যায় । আমরা সংবাদ প্রচার বা প্রকাশের মাধ্যমের বিবর্তন দেখেছি কালের চক্রে বা সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে। মনে পড়ে আমাদের সময়ে গ্রামে সংবাদ শুনার একমাত্র মাধ্যমে ছিল রেডিও।টেলিভিশন গ্রামে তখনও পৌঁছাইনি। রেডিওতে বাংলাদেশ বেতার, বিবিসি বাংলা , ভয়েস অব আমেরিকার, ডয়েচে ভেলে এসব মাধ্যমে সংবাদ শুনতাম বা কখনো কখনো সংবাদ শুনার জন্য অপেক্ষা করতাম।পত্রিকা আসতো স্কুল লাইব্রেরিতে। ক্লাসের ফাঁকে বা টিফিন ব্রেকে পত্রিকা পড়ার সুযোগ হতো। বিগত দুই দশকে তথ্যপ্রযুক্তির যে অভাবনীয় পরিবর্তন হলো তার ব্যাপক প্রভাব পড়লো সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকতার উপর।

এখন রেডিও, টেলিভিশন, ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বা পত্রিকা , সামাজিক মাধ্যম কিংবা মোবাইলের নিউজ এলার্টের মাধ্যমেও আমরা সংবাদ পাচ্ছি। আবার অসংখ্য মাধ্যম থাকায় সংবাদ পাঠকরা সহজেই এর বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই এ তৎপর হচ্ছে বা সুযোগ থাকছে। কিছু কিছু সংবাদ বা খবরে সামাজিক মাধ্যমে মানুষের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ার মতো। কোন কোন ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যম বা সাংবাদিকদের উপস্হিতি বা অনুপস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষ লাইভ করে বা প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে পোস্ট করছে এবং তা সকলের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। এতে জনমত গড়ে তোলাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করলে বলা যায়, ২০২৪ সালে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগার সাথে সাথে জনসাধারণ সামাজিক মাধ্যমে লাইভ বা পোস্ট করে। এতে তাৎক্ষণিক খবর ছড়িয়ে পড়লে আগুণ নেভানোর জন্য ব্যাপক জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে সেইসাথে সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান তথা ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন শুরু করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।

গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চর্তুথ স্তম্ভ বলা হয়। গণমাধ্যম হিসেবে ‘খবরের কথা’ যথার্থ দায়িত্ব পালন ও ভূমিকা রাখতে চায়। তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যম আমাদের বিচরণ ক্ষেত্রে। খবরের কথা শুধু সংবাদ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে তা নয় বরং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সমালোচনা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করার মাধ্যমে জনগণের মতামত গঠনে ভূমিকা পালন করবে। তাই আত্নবিশ্বাস ও দৃঢ়তায় মনে ব্যক্ত হয় , স্বদেশ কিংবা সারা বিশ্ব সব ঘটনার সকল কথা, আমরা বলতে চাই কথা, ‘খবরে কথা ‘।