ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চীন থেকে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানির রাসায়নিক পরিবহন করবে কার্গো জাহাজ মিয়ানমারে সংঘর্ষ ও বিমান হামলায় প্রাণহানি বৃদ্ধি: জাতিসংঘের উদ্বেগ বিপিএলে উড়ন্ত চলতে থাকা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর ২৪ রানের জয় আমরা বলতে চাই কথা, খবরের কথা ছাত্র জনতার উপর হামলার নেতৃত্বদানকারী মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার মহাসড়কে স্লিপার বাস চলাচলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে রিট খরচ কমাতে CNN শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করবে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই বিক্রির চক্রের ২ সদস্য আটক   রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হবে

ড. ইউনূসের আহ্বান

চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বনেতাদের সহযোগিতা চান

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে বিদেশে পাচার হয়েছে দাবি করে এই অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বৈঠক করেন জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান উলফগ্যাং শ্মিট, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা, এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ অন্যান্য বিশ্বনেতার সঙ্গে। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাঙ্ক, এবং সাংবাদিকদের সমর্থন চেয়ে বলেন, “বাংলাদেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনতে বৈশ্বিক উদ্যোগ অপরিহার্য।” বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জার্মান মন্ত্রীকে জানান, অর্থ পাচার রোধে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ে শীর্ষ ২০ জন অর্থ পাচারকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ বাংলাদেশের কথাই বলি।” জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন। একইসঙ্গে সুইস কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়ন ও ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণে সহযোগিতা চেয়েছেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান জরুরি, কারণ প্রতিদিন নতুন শরণার্থী প্রবেশ করছে।” এ ছাড়া বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল সংলাপ অংশীদার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে থাইল্যান্ডের সমর্থন চান। বৈঠকে বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৩৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

ড. ইউনূসের আহ্বান

চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বনেতাদের সহযোগিতা চান

আপডেট সময় ০২:৩৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশের শত শত বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে বিদেশে পাচার হয়েছে দাবি করে এই অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বৈঠক করেন জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান উলফগ্যাং শ্মিট, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা, এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ অন্যান্য বিশ্বনেতার সঙ্গে। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাঙ্ক, এবং সাংবাদিকদের সমর্থন চেয়ে বলেন, “বাংলাদেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনতে বৈশ্বিক উদ্যোগ অপরিহার্য।” বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জার্মান মন্ত্রীকে জানান, অর্থ পাচার রোধে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ে শীর্ষ ২০ জন অর্থ পাচারকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ বাংলাদেশের কথাই বলি।” জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন। একইসঙ্গে সুইস কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়ন ও ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণে সহযোগিতা চেয়েছেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান জরুরি, কারণ প্রতিদিন নতুন শরণার্থী প্রবেশ করছে।” এ ছাড়া বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল সংলাপ অংশীদার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে থাইল্যান্ডের সমর্থন চান। বৈঠকে বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন তিনি।