আন্তর্জাতিক
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত: বৈদেশিক সহায়তায় ৯০ দিনের সাময়িক স্থগিতাদেশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সব বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি ৯০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। সোমবার জারি করা এ আদেশে বলা হয়, এসব কর্মসূচি প্রশাসনের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা পর্যালোচনা করা হবে।
এ আদেশের তাৎক্ষণিক প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। কারণ, অনেক কর্মসূচির জন্য ইতোমধ্যেই কংগ্রেস বরাদ্দ দিয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে। তবে, ট্রাম্পের মতে, বেশ কিছু সহায়তা কর্মসূচি আমেরিকার স্বার্থের পরিপন্থী এবং বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে আর কোনো বৈদেশিক সহায়তা দেওয়া হবে না।” তিনি এ ধরনের কর্মসূচিকে আমেরিকার মূল্যবোধের বিরোধী এবং বিশ্বে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)-কে এসব কর্মসূচি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সব সহায়তা কর্মসূচি মূল্যায়নে তিনটি প্রধান প্রশ্ন নির্ধারণ করেছেন—এটি কি আমেরিকাকে নিরাপদ রাখবে? শক্তিশালী করবে? কিংবা সমৃদ্ধ করবে?
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে গেছে এবং সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থায়ন বন্ধ করেছে। এ ছাড়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা তহবিলেও অর্থায়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ বৈদেশিক নীতিতে নতুন অধ্যায় যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, এ সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কেমন হবে, তা দেখার বিষয়।