০৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।
হেলথ টিপস

স্কেবিস (Scabies) এবং দাউদ (Leprosy) এই দুটি রোগ বর্তমানে মহামারী হয়ে এসেছে, করণীয় কি?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 237

ছবি সংগৃহীত

 

স্কেবিস (Scabies) এবং দাউদ (Leprosy) দুটি রোগই খুবই সংক্রামক এবং দীর্ঘকাল ধরে চিকিৎসা না হলে মানুষের জীবনযাত্রার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, এই রোগগুলির প্রতি সচেতনতা, দ্রুত চিকিৎসা ও সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে মহামারী পরিস্থিতি রোধ করা সম্ভব।

স্কেবিস (Scabies): স্কেবিস হলো একটি চর্মরোগ যা কৃমি (মাইট) দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি ত্বকের সংক্রমণের ফলে চুলকানি, লাল দাগ এবং ফুসকুড়ি তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

করণীয়: চিকিৎসা: স্কেবিসের জন্য প্রেস্ক্রাইব করা ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত, এটি চিকিৎসক দ্বারা নির্ধারিত হয়।

স্বাস্থ্যবিধি: স্কেবিস খুব সহজে মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানা, তোয়ালে ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করা জরুরি।

প্রতিরোধ: আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবেষ্টিত লোকদের একসঙ্গে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। শখ ও শোবার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

দাউদ (Leprosy): দাউদ, বা কলেরা, একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রামক রোগ যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপরি নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয়। এটি ত্বক, স্নায়ু, শ্বাসতন্ত্র এবং চোখে ক্ষতি করতে পারে।

করণীয়: চিকিৎসা: দাউদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি প্রয়োজন। রোগটি সময়মতো চিহ্নিত ও চিকিৎসা করা হলে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব।

প্রতিরোধ: দাউদ সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এড়ানো উচিত। সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে দাউদ নিয়ে ভীতি ও ভুল ধারণা থাকলেও রোগটি নিরাময়যোগ্য, তাই জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি গঠন করা দরকার।

সাধারণ পরামর্শ:

  • আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরুর পর অবিলম্বে আলাদা করা উচিত, যাতে অন্যরা আক্রান্ত না হয়।
  • স্যানিটেশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।
  • রোগীদের পুরো চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন, কারণ অসম্পূর্ণ চিকিৎসা রোগটি আরও কঠিন করতে পারে।

এই রোগগুলির দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমের মাধ্যমে মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

হেলথ টিপস

স্কেবিস (Scabies) এবং দাউদ (Leprosy) এই দুটি রোগ বর্তমানে মহামারী হয়ে এসেছে, করণীয় কি?

আপডেট সময় ১২:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

 

স্কেবিস (Scabies) এবং দাউদ (Leprosy) দুটি রোগই খুবই সংক্রামক এবং দীর্ঘকাল ধরে চিকিৎসা না হলে মানুষের জীবনযাত্রার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, এই রোগগুলির প্রতি সচেতনতা, দ্রুত চিকিৎসা ও সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে মহামারী পরিস্থিতি রোধ করা সম্ভব।

স্কেবিস (Scabies): স্কেবিস হলো একটি চর্মরোগ যা কৃমি (মাইট) দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি ত্বকের সংক্রমণের ফলে চুলকানি, লাল দাগ এবং ফুসকুড়ি তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

করণীয়: চিকিৎসা: স্কেবিসের জন্য প্রেস্ক্রাইব করা ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত, এটি চিকিৎসক দ্বারা নির্ধারিত হয়।

স্বাস্থ্যবিধি: স্কেবিস খুব সহজে মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানা, তোয়ালে ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করা জরুরি।

প্রতিরোধ: আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবেষ্টিত লোকদের একসঙ্গে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। শখ ও শোবার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

দাউদ (Leprosy): দাউদ, বা কলেরা, একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রামক রোগ যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপরি নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয়। এটি ত্বক, স্নায়ু, শ্বাসতন্ত্র এবং চোখে ক্ষতি করতে পারে।

করণীয়: চিকিৎসা: দাউদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি প্রয়োজন। রোগটি সময়মতো চিহ্নিত ও চিকিৎসা করা হলে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব।

প্রতিরোধ: দাউদ সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এড়ানো উচিত। সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে দাউদ নিয়ে ভীতি ও ভুল ধারণা থাকলেও রোগটি নিরাময়যোগ্য, তাই জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি গঠন করা দরকার।

সাধারণ পরামর্শ:

  • আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরুর পর অবিলম্বে আলাদা করা উচিত, যাতে অন্যরা আক্রান্ত না হয়।
  • স্যানিটেশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।
  • রোগীদের পুরো চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন, কারণ অসম্পূর্ণ চিকিৎসা রোগটি আরও কঠিন করতে পারে।

এই রোগগুলির দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমের মাধ্যমে মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।