ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প, আহত ২৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে সমুদ্রতলের নিচে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। আজ রবিবার (১৭ আগস্ট ২০২৫) সকালের এই ভূমিকম্পে অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুলাওয়েসি প্রদেশের পোসো জেলার উত্তর দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মাইল) দূরে।

ভূমিকম্পের পর অন্তত ১৫টি আফটারশক অনুভূত হয়। তবে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগকে আঞ্চলিক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই রবিবার সকালের প্রার্থনায় গির্জায় উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত কিছু ভিডিওতে গির্জার কাঠামোগত ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। পোসো দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা মাঠ পর্যায়ে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক মূল্যায়ন করছে।

ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২৭ কোটি মানুষের বিশাল দ্বীপরাষ্ট্র, যা প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়। এর কারণ দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর অংশ, যেখানে আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পের ফল্টলাইন বিস্তৃত রয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর শহরে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৬০২ জন প্রাণ হারান, যা ২০১৮ সালে সুলাওয়েসিতে ভূমিকম্প ও সুনামির পর সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। ২০১৮ সালের সেই ঘটনায় ৪,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

আরো আগে, ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট এক শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহ সুনামি হয়েছিল, যাতে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশসহ এক ডজন দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প, আহত ২৯

আপডেট সময় ০২:৫২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

 

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে সমুদ্রতলের নিচে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। আজ রবিবার (১৭ আগস্ট ২০২৫) সকালের এই ভূমিকম্পে অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুলাওয়েসি প্রদেশের পোসো জেলার উত্তর দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মাইল) দূরে।

ভূমিকম্পের পর অন্তত ১৫টি আফটারশক অনুভূত হয়। তবে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগকে আঞ্চলিক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই রবিবার সকালের প্রার্থনায় গির্জায় উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত কিছু ভিডিওতে গির্জার কাঠামোগত ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। পোসো দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা মাঠ পর্যায়ে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক মূল্যায়ন করছে।

ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২৭ কোটি মানুষের বিশাল দ্বীপরাষ্ট্র, যা প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়। এর কারণ দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর অংশ, যেখানে আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পের ফল্টলাইন বিস্তৃত রয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর শহরে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৬০২ জন প্রাণ হারান, যা ২০১৮ সালে সুলাওয়েসিতে ভূমিকম্প ও সুনামির পর সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। ২০১৮ সালের সেই ঘটনায় ৪,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

আরো আগে, ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট এক শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহ সুনামি হয়েছিল, যাতে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশসহ এক ডজন দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।