শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়বে কিনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প

- আপডেট সময় ০১:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / 18
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা চলমান ৯০ দিনের শুল্কবিরতির সময়সীমা আরও বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সুইডেনের স্টকহোমে টানা দুইদিন গঠনমূলক আলোচনা শেষে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় দুই পক্ষ। যদিও বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে আলোচনাটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানানো হলেও, উল্লেখযোগ্য কোনো চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যবিরোধ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১২ আগস্ট শেষ হতে যাওয়া শুল্কবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কিনা—সে সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই নেবেন। তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট আশ্বস্ত করেছেন, ট্রাম্পের শুল্কবিরতি না বাড়ানোর আশঙ্কার কোনো বাস্তবতা আপাতত নেই।
স্টকহোমে আলোচনার পর সাংবাদিকদের স্কট বেসেন্ট বলেন, “বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক হয়েছে। এখন শুধু চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।” ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর শেষে স্কটল্যান্ড সফর থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে ট্রাম্পকে আলোচনার আপডেট দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও আরও কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করলেও, চীনের সঙ্গে আলোচনা জটিল হয়ে পড়েছে দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি ও বিশ্ববাজারে বিরল খনিজের নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে।
গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের পণ্যের ওপর তিন অঙ্কের শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে ৯০ দিনের শুল্কবিরতির ঘোষণা দেয়। সেই সময় শুল্ক কার্যকর হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতো। তবে যদি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হয়, তাহলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ও অর্থবাজারে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানিয়েছেন, ৯০ দিনের শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়ানো একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্টকহোমে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আলোচনা শেষে তিনি বলেন, “আলোচনাগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে এবং আমরা একটি ভালো অবস্থান নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। তবে শুল্কবিরতি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই নেবেন।”
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আজ বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন স্কট বেসেন্ট।