ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে গেছে অর্থ উপদেষ্টা রেলপথ গুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চায় সরকার আরো ১৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, এসআই গুরুতর আহত নোয়াখালীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় নিশ্চিত করতেই চার্জশীট দিতে দেরী হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারত নদীর পাড়ে,জঙ্গলে মানুষ ফেলে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ লোহাগড়ায় সাপের কামড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু সকল পাবলিক পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে ৮ শিক্ষককে আজীবনের জন্য অব্যাহতি

ঘুরে দাড়িয়েছে দেশের পোশাক শিল্প, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ২১ ও ইউরোপে ১৭ শতাংশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / 13

ছবি: সংগৃহীত

 

গত বছর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলেদেশের পোশাক শিল্প। দেশের অর্থনীতি এক বড় টাকা আসে পোশাক রপ্তানী থেকে। ২১ শতাংশ পোশাক রপ্তানী বেড়েছে এবার। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ওটেক্সা। অন্যদিকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ার তথ্য দিয়েছে ইউরোস্ট্যাট।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির খবরটি এমন সময়ে এল, যখন ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে দর কষাকষি চলছে।

একক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বা রপ্তানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
অফিস অব দ্য টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

পাঁচ মাসের হিসাব দিয়ে ওটেক্সা বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক প্রবেশ করেছে ৩৫৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ৭২ লাখ ডলার (২১ দশমিক ৬০ শতাংশ) বেশি।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য যে পোশাক আমরা বানাই, তা সহজে অন্য কেউ দিতে পারবে না। এ কারণে জিএসপি হারানোর পরও বাংলাদেশের বাজার বাড়ছে।

‘‘নতুন শুল্কারোপের প্রভাব কী হয়, তা বলা যাচ্ছে না এখনই। আমরা চাইব, বাজার ধরে রেখেই যেন সরকার অন্যান্য বাজার সম্প্রসারণের নীতি নির্ধারণ করে। তাহলে আমাদের বর্তমান বাজারও থাকলো, নতুন বাজারেও রপ্তানি বাড়াতে পারলাম।”

বাংলাদেশের আরেক বড় বাজার ইউরোপেও বেড়েছে পোশাক রপ্তানি।

ইউরোপের দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ইউরোস্ট্যাট।

সেই তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) বলছে, চলতি বছরের ৫ মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে ইউরোপে ৯৬৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪৪ কোটি ডলার বেশি।

২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয় ৮২৩ কোটি ডলারের।

রপ্তানির পাশাপাশি পোশাকের দর বাড়ার তথ্যও দিয়েছে ইউরোস্ট্যাট। তাদের হিসাবে, আগের বছরের ‍তুলনায় দর বেড়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের সংখ্যার হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ২১ শতাংশ; আর ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ।

চলতি বছরের পাঁচ মাসে সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ।

এই সময়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ভিয়েতনামের বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও পাকিস্তানের বেড়েছে ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। চীনের পোশাক রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে ৫ মাসে সব দেশের পোশাক রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি হয় ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

একক দেশ হিসেবে চীনের ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও পাকিস্তানের ১৯ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুরে দাড়িয়েছে দেশের পোশাক শিল্প, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ২১ ও ইউরোপে ১৭ শতাংশ

আপডেট সময় ১১:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

 

গত বছর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলেদেশের পোশাক শিল্প। দেশের অর্থনীতি এক বড় টাকা আসে পোশাক রপ্তানী থেকে। ২১ শতাংশ পোশাক রপ্তানী বেড়েছে এবার। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ওটেক্সা। অন্যদিকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ার তথ্য দিয়েছে ইউরোস্ট্যাট।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির খবরটি এমন সময়ে এল, যখন ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে দর কষাকষি চলছে।

একক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বা রপ্তানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
অফিস অব দ্য টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

পাঁচ মাসের হিসাব দিয়ে ওটেক্সা বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক প্রবেশ করেছে ৩৫৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ৭২ লাখ ডলার (২১ দশমিক ৬০ শতাংশ) বেশি।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য যে পোশাক আমরা বানাই, তা সহজে অন্য কেউ দিতে পারবে না। এ কারণে জিএসপি হারানোর পরও বাংলাদেশের বাজার বাড়ছে।

‘‘নতুন শুল্কারোপের প্রভাব কী হয়, তা বলা যাচ্ছে না এখনই। আমরা চাইব, বাজার ধরে রেখেই যেন সরকার অন্যান্য বাজার সম্প্রসারণের নীতি নির্ধারণ করে। তাহলে আমাদের বর্তমান বাজারও থাকলো, নতুন বাজারেও রপ্তানি বাড়াতে পারলাম।”

বাংলাদেশের আরেক বড় বাজার ইউরোপেও বেড়েছে পোশাক রপ্তানি।

ইউরোপের দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ইউরোস্ট্যাট।

সেই তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) বলছে, চলতি বছরের ৫ মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে ইউরোপে ৯৬৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪৪ কোটি ডলার বেশি।

২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয় ৮২৩ কোটি ডলারের।

রপ্তানির পাশাপাশি পোশাকের দর বাড়ার তথ্যও দিয়েছে ইউরোস্ট্যাট। তাদের হিসাবে, আগের বছরের ‍তুলনায় দর বেড়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের সংখ্যার হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ২১ শতাংশ; আর ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ।

চলতি বছরের পাঁচ মাসে সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ।

এই সময়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ভিয়েতনামের বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও পাকিস্তানের বেড়েছে ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। চীনের পোশাক রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে ৫ মাসে সব দেশের পোশাক রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি হয় ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

একক দেশ হিসেবে চীনের ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও পাকিস্তানের ১৯ শতাংশ।