ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সংঘর্ষে উত্তপ্ত ঢাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

বিক্ষোভকারীরা পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সরানোর প্রতিবাদে সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভকারীরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের বাধার মুখোমুখি হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে প্রথমে জলকামান ছোড়া হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে অন্তত তিন থেকে চারজন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “আমরা প্রথমে তাদের অনুরোধ করেছিলাম এগিয়ে না যেতে। কিন্তু তারা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের বাধ্য হয়ে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে হয়েছে।” আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কারও বড় ধরনের ক্ষতি না করা।

এই ঘটনায় উত্তেজনা থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরে শান্ত হয়। তবে এ ঘটনার মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকারের প্রশ্ন এবং পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সংঘর্ষে উত্তপ্ত ঢাকা

আপডেট সময় ০৭:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

বিক্ষোভকারীরা পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সরানোর প্রতিবাদে সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভকারীরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের বাধার মুখোমুখি হন। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে প্রথমে জলকামান ছোড়া হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে অন্তত তিন থেকে চারজন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “আমরা প্রথমে তাদের অনুরোধ করেছিলাম এগিয়ে না যেতে। কিন্তু তারা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের বাধ্য হয়ে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে হয়েছে।” আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কারও বড় ধরনের ক্ষতি না করা।

এই ঘটনায় উত্তেজনা থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরে শান্ত হয়। তবে এ ঘটনার মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকারের প্রশ্ন এবং পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।