১০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫ অভিবাসী কর্মী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 110

ছবি সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে একাধিক স্থানে পরিচালিত অভিযানে বাংলাদেশিসহ সাত দেশের ৩৫ জন অভিবাসী কর্মীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের নাগরিক রয়েছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন সূত্রে বৈধ পাস বা কাজের পারমিট না থাকা অভিবাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন পরিচালক। তিনি বলেন, “আইন লঙ্ঘন করে বসবাসরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালিত হয় এবং সেখান থেকেই এসব অভিবাসীকে আটক করা হয়।”

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বর্তমানে সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারায় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের অনেকেই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা এবং বৈধ শ্রম বাজার সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের অবশ্যই বৈধ ভিসা ও কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে যাওয়া উচিত, অন্যথায় এ ধরনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫ অভিবাসী কর্মী

আপডেট সময় ০৪:২৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে একাধিক স্থানে পরিচালিত অভিযানে বাংলাদেশিসহ সাত দেশের ৩৫ জন অভিবাসী কর্মীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের নাগরিক রয়েছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন সূত্রে বৈধ পাস বা কাজের পারমিট না থাকা অভিবাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন পরিচালক। তিনি বলেন, “আইন লঙ্ঘন করে বসবাসরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালিত হয় এবং সেখান থেকেই এসব অভিবাসীকে আটক করা হয়।”

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বর্তমানে সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারায় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের অনেকেই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা এবং বৈধ শ্রম বাজার সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের অবশ্যই বৈধ ভিসা ও কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে যাওয়া উচিত, অন্যথায় এ ধরনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।