ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫ অভিবাসী কর্মী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে একাধিক স্থানে পরিচালিত অভিযানে বাংলাদেশিসহ সাত দেশের ৩৫ জন অভিবাসী কর্মীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের নাগরিক রয়েছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে বলে জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে বৈধ পাস বা কাজের পারমিট না থাকা অভিবাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন পরিচালক। তিনি বলেন, “আইন লঙ্ঘন করে বসবাসরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালিত হয় এবং সেখান থেকেই এসব অভিবাসীকে আটক করা হয়।”

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বর্তমানে সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারায় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের অনেকেই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা এবং বৈধ শ্রম বাজার সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের অবশ্যই বৈধ ভিসা ও কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে যাওয়া উচিত, অন্যথায় এ ধরনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫ অভিবাসী কর্মী

আপডেট সময় ০৪:২৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে একাধিক স্থানে পরিচালিত অভিযানে বাংলাদেশিসহ সাত দেশের ৩৫ জন অভিবাসী কর্মীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের নাগরিক রয়েছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে বলে জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে বৈধ পাস বা কাজের পারমিট না থাকা অভিবাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন পরিচালক। তিনি বলেন, “আইন লঙ্ঘন করে বসবাসরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালিত হয় এবং সেখান থেকেই এসব অভিবাসীকে আটক করা হয়।”

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বর্তমানে সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারায় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের অনেকেই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা এবং বৈধ শ্রম বাজার সুরক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের অবশ্যই বৈধ ভিসা ও কাজের অনুমতিপত্র নিয়ে যাওয়া উচিত, অন্যথায় এ ধরনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।