ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা নারী ক্ষমতায়নে বিএনপি বরাবরই সহায়ক: সালাহউদ্দিন আহমদ সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩০ জন জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই হবে: আইন উপদেষ্টা

দাপুটে জয়ে বিধ্বস্ত লঙ্কানরা, সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

 

প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজ হারার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে ডাম্বুলায় দাপুটে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে লিটন দাসের দল। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আগামী বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।

রোববার (১৩ জুলাই) ডাম্বুলার রংগিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৭৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুটা ভালো ছিল না। মাত্র ৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফিরে যান সাজঘরে। সেখান থেকে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় দলকে টেনে তোলেন। এই জুটি ৬৯ রান যোগ করেন। হৃদয় ২৫ বলে ৩১ রান করে ফিরে গেলেও, লিটন তুলে নেন টি-টোয়েন্টিতে অনেকদিন পর ফিফটি। ৫০ বলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক।

শেষদিকে শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে আসে আরও এক মূল্যবান ইনিংস। মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রান করে রানআউট হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ২টি চার।

১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস (৮) রানআউট হওয়ার পর শরিফুল ইসলাম টানা দুটি উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কান শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন। তিনি ফিরিয়ে দেন কুশল পেরেরা (০) ও আভিস্কা ফার্নান্দোকে (২)। এরপর সাইফউদ্দিন আউট করেন অধিনায়ক চারিথা আশালঙ্কাকে (৫)।

একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা করেন ২৯ বলে ৩২ রান। দাশুন শানাকার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের বোলিং তোপের মুখে।

শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন মাত্র ১৫ রানে। সমান ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বল হাতে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখান মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেনও।

এই জয়ে আত্মবিশ্বাসের নতুন রসদ পেলো বাংলাদেশ। এখন অপেক্ষা, সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে কলম্বোতে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

দাপুটে জয়ে বিধ্বস্ত লঙ্কানরা, সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

 

প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজ হারার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে ডাম্বুলায় দাপুটে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে লিটন দাসের দল। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আগামী বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।

রোববার (১৩ জুলাই) ডাম্বুলার রংগিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৭৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুটা ভালো ছিল না। মাত্র ৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফিরে যান সাজঘরে। সেখান থেকে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় দলকে টেনে তোলেন। এই জুটি ৬৯ রান যোগ করেন। হৃদয় ২৫ বলে ৩১ রান করে ফিরে গেলেও, লিটন তুলে নেন টি-টোয়েন্টিতে অনেকদিন পর ফিফটি। ৫০ বলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক।

শেষদিকে শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে আসে আরও এক মূল্যবান ইনিংস। মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রান করে রানআউট হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ২টি চার।

১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস (৮) রানআউট হওয়ার পর শরিফুল ইসলাম টানা দুটি উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কান শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন। তিনি ফিরিয়ে দেন কুশল পেরেরা (০) ও আভিস্কা ফার্নান্দোকে (২)। এরপর সাইফউদ্দিন আউট করেন অধিনায়ক চারিথা আশালঙ্কাকে (৫)।

একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা করেন ২৯ বলে ৩২ রান। দাশুন শানাকার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের বোলিং তোপের মুখে।

শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন মাত্র ১৫ রানে। সমান ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বল হাতে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখান মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেনও।

এই জয়ে আত্মবিশ্বাসের নতুন রসদ পেলো বাংলাদেশ। এখন অপেক্ষা, সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে কলম্বোতে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার।