০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / 115

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলা চলচ্চিত্রে কৌতুক অভিনয়ের এক অবিসংবাদিত নাম দিলদার। যিনি শুধুই পার্শ্বচরিত্রে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং নায়কদের সমানতালে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার উপস্থিতি মানেই বাড়তি বিনোদন, প্রাণবন্ততা এবং দর্শকপ্রিয়তা। আজ (১৩ জুলাই) এই গুণী অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে, মাত্র ৫৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

বিজ্ঞাপন

১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। পড়ালেখার ইতি টানেন এসএসসি পাশের পরই। তবে তার জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় শুরু হয় ১৯৭২ সালে, ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর একে একে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত, ঢাকাই সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা বলতে সবার আগে যিনি উঠে আসতেন, তিনি ছিলেন দিলদার।

তার অভিনয় এমনই প্রভাব ফেলেছিল যে, একসময় তাকে ঘিরেই নির্মিত হয় ‘আব্দুল্লাহ’ নামের একটি চলচ্চিত্র। নূতনের বিপরীতে এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। সিনেমার গানগুলোও পেয়েছিল দর্শকপ্রিয়তা।

২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন দিলদার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, একই বছর সবাইকে শোকাহত করে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা আজও পূরণ হয়নি। সময়ের সঙ্গে বহু কৌতুক অভিনেতার আগমন ঘটলেও, কেউই স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি দর্শকের হৃদয়ে দিলদারের মতো।

দিলদারের স্মরণীয় চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ আরও বহু জনপ্রিয় সিনেমা।

দর্শকের হাসির খোরাক জোগানো এই শিল্পীর নাম বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এটাই তার প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ০৫:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

 

 

বাংলা চলচ্চিত্রে কৌতুক অভিনয়ের এক অবিসংবাদিত নাম দিলদার। যিনি শুধুই পার্শ্বচরিত্রে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং নায়কদের সমানতালে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার উপস্থিতি মানেই বাড়তি বিনোদন, প্রাণবন্ততা এবং দর্শকপ্রিয়তা। আজ (১৩ জুলাই) এই গুণী অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে, মাত্র ৫৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

বিজ্ঞাপন

১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। পড়ালেখার ইতি টানেন এসএসসি পাশের পরই। তবে তার জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় শুরু হয় ১৯৭২ সালে, ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মাধ্যমে। এরপর একে একে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত, ঢাকাই সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা বলতে সবার আগে যিনি উঠে আসতেন, তিনি ছিলেন দিলদার।

তার অভিনয় এমনই প্রভাব ফেলেছিল যে, একসময় তাকে ঘিরেই নির্মিত হয় ‘আব্দুল্লাহ’ নামের একটি চলচ্চিত্র। নূতনের বিপরীতে এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। সিনেমার গানগুলোও পেয়েছিল দর্শকপ্রিয়তা।

২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন দিলদার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, একই বছর সবাইকে শোকাহত করে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা আজও পূরণ হয়নি। সময়ের সঙ্গে বহু কৌতুক অভিনেতার আগমন ঘটলেও, কেউই স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি দর্শকের হৃদয়ে দিলদারের মতো।

দিলদারের স্মরণীয় চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ আরও বহু জনপ্রিয় সিনেমা।

দর্শকের হাসির খোরাক জোগানো এই শিল্পীর নাম বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এটাই তার প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা।