আবু সাঈদ হত্যা ও ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ১৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির

- আপডেট সময় ১১:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 7
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা এবং ঢাকার আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুই আলোচিত মামলার আসামিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) সকালে পৃথক প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ৩০ জন আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ৪ জনকে হাজির করা হয়েছে। এরা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেরোবি এলাকার পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিচার দাবি করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। গত ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে তদন্ত সংস্থা এবং ৩০ জুন প্রসিকিউশন অভিযোগপত্র দাখিল করলে ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়। পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হতে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে, আশুলিয়ার গণহত্যা ও ছয় মরদেহ পুড়িয়ে হত্যার মামলায় মোট ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২ জুলাই মামলাটি আমলে নেওয়ার পাশাপাশি পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৮ জনকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এ এফ এম সায়েদ (রনি), ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন ও কনস্টেবল মুকুল চোকদার।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকেলে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তাদের একটি ভ্যানে তোলা হয় এবং পুলিশের গাড়িতে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন সজল, আস সাবুর, সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি, আবুল হোসেন এবং এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
এই দুই মামলার বিচার শুরু হলে দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।