ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস ভিএআর বিভ্রাটে বিতর্ক, ইয়ামালের গোলে ড্রয়ে রক্ষা পেল বার্সেলোনা আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৫০০ ছাড়িয়েছে ভিসা জালিয়াতদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আজীবন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি আঞ্চলিক-বৈশ্বিক পরিবর্তনে ইরান-চীন হাত মিলাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্যতম শীর্ষ নেতা মুহাম্মাদ সিনওয়ারের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে হামাস ইসরায়েলের সাইবার ট্র্যাকিংয়ে নিহত হয়েছিলো ইরানের শীর্ষ ব্যক্তিরা পলিথিন পেলেই জব্দ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

মায়ানমারের মঠে জান্তার ভয়াবহ বিমান হামলায় শিশুসহ ২২ জনের মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 56

ছবি: সংগৃহীত

 

মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলের সাগাইং অঞ্চলের একটি বৌদ্ধ মঠে সাম্প্রতিক এক বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ২২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন একজন জান্তাবিরোধী যোদ্ধা এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা। খবর প্রকাশ করেছে এএফপি।

স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে লিন তা লু গ্রামে এই হামলা ঘটে। ওই এলাকায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষরা একটি মঠে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলার সময় একটি মঠের হলরুমে বোমা নিক্ষেপ করা হয়, যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন অনেক নারী ও শিশু।

একজন বিদ্রোহী যোদ্ধা জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা ভেবেছিল মঠে থাকা নিরাপদ, কিন্তু জান্তা সেখানেও বোমাবর্ষণ করেছে।”

একই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দাও। তিনি জানান, মঠের হল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। শুক্রবার ভোরে হামলার পর তিনি কিছু মৃতদেহ একটি গাড়িতে তুলে কবরস্থানের দিকে যেতে দেখেছেন। পরে তিনি কবরস্থানে গিয়ে ২২টি মৃতদেহ গণনা করেন, যাদের অনেকের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল বা শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

এ দৃশ্যকে তিনি “চরম মর্মান্তিক” বলে উল্লেখ করেন।

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের পর থেকে মায়ানমার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে সাগাইং অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমন করতে জান্তা বারবার বিমান হামলার আশ্রয় নিয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সাগাইংয়ে ৭.৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রায় ৩৮০০ জন প্রাণ হারায় এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়। তখন একটি অঘোষিত যুদ্ধবিরতির কথা বলা হলেও বাস্তবে সংঘর্ষ ও বিমান হামলা থামেনি। মে মাসে একই অঞ্চলের একটি স্কুলে বিমান হামলায় দুই শিক্ষকসহ আরও ২০ জন নিহত হয়।

এ ঘটনায় জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুনের কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বলছে, সংঘর্ষের তীব্রতা দিন দিন আরও বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মায়ানমারের মঠে জান্তার ভয়াবহ বিমান হামলায় শিশুসহ ২২ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:১৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলের সাগাইং অঞ্চলের একটি বৌদ্ধ মঠে সাম্প্রতিক এক বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ২২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন একজন জান্তাবিরোধী যোদ্ধা এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা। খবর প্রকাশ করেছে এএফপি।

স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে লিন তা লু গ্রামে এই হামলা ঘটে। ওই এলাকায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষরা একটি মঠে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলার সময় একটি মঠের হলরুমে বোমা নিক্ষেপ করা হয়, যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন অনেক নারী ও শিশু।

একজন বিদ্রোহী যোদ্ধা জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা ভেবেছিল মঠে থাকা নিরাপদ, কিন্তু জান্তা সেখানেও বোমাবর্ষণ করেছে।”

একই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দাও। তিনি জানান, মঠের হল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। শুক্রবার ভোরে হামলার পর তিনি কিছু মৃতদেহ একটি গাড়িতে তুলে কবরস্থানের দিকে যেতে দেখেছেন। পরে তিনি কবরস্থানে গিয়ে ২২টি মৃতদেহ গণনা করেন, যাদের অনেকের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল বা শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

এ দৃশ্যকে তিনি “চরম মর্মান্তিক” বলে উল্লেখ করেন।

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের পর থেকে মায়ানমার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে সাগাইং অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমন করতে জান্তা বারবার বিমান হামলার আশ্রয় নিয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সাগাইংয়ে ৭.৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রায় ৩৮০০ জন প্রাণ হারায় এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়। তখন একটি অঘোষিত যুদ্ধবিরতির কথা বলা হলেও বাস্তবে সংঘর্ষ ও বিমান হামলা থামেনি। মে মাসে একই অঞ্চলের একটি স্কুলে বিমান হামলায় দুই শিক্ষকসহ আরও ২০ জন নিহত হয়।

এ ঘটনায় জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুনের কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বলছে, সংঘর্ষের তীব্রতা দিন দিন আরও বাড়ছে।